ভোটের আগেই স্বমহিমায় মদন, তৃণমূল নেতার মুখে এবার “দমদম দাওয়াই”!

ভোট হবে আর খবরে থাকবেন না মদন মিত্র (Madan Mitra), তা আবার হয় নাকি! চলতি লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) ২৪ ঘণ্টা আগে স্বমহিমায় কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল (TMC) বিধায়ক। লাঠি চালানোর চেষ্টা করলে অযথা গায়ে হাত দিলে সেই লাঠি কেড়ে নেওযার ক্ষমতা তৃণমূল কংগ্রেসের আছে। সপ্তম দফা (Seventh Phase) ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি মদন মিত্রের। দিলেন “দমদম দাওয়াই”! তৃণমূল কর্মীরা জানেন কোথায় কোন মিক্সচার দিতে হবে!

রাত পোহালেই ভোট দমদম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। আবার এই দমদম কেন্দ্রের অন্তর্গত বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচন। তার পাশের কেন্দ্রের বিধায়ক মদন মিত্র। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। তবে ভোটের ময়দানে ফের সক্রিয় হয়েছেন তৃণমূলের রঙিন নেতা মদন মিত্র। ভোটের ঠিক আগেই বললেন, “আমি যদি বলি দমদম ধোলাই হবে, সে তো অসংসদীয় হতে পারে। আমি তো দাওয়াইয়ের কথা বলছি। যেমন তোমাকে এখন বলছি যে দিল্লিতে ৫২ ডিগ্রি গরম হয়েছে, এখানেও প্রায় à§©à§«-৩৬ হয়ে গেছে, তোমরা ORS খাও। তেমনি দাওয়াইয়ের জন্য নিশ্চিত থাকতে পার, তৃণমূল কর্মীরা জানে কী দাওয়াই দিতে হবে। কোন মিক্সচার কোথায় দিতে হবে।” তিনি আরও বললেন, ‘লরি মানে টাটা, জুতো মানে বাটা আর দমদম মানে দাওয়াই। এটা তো আমার কথা নয়।’

বাংলায় ভোট মানেই বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা। এবার তাঁদেরকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে মদন মিত্র বললেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি মনে করে, ওই লম্বা লম্বা লাঠি দিয়ে পেটাবে, আর টমিগান আর স্টেইনগান দেখিয়ে, তারপরে এসে আমাদের স্টলে বলবে ORS দাও, তা কি হয় নাকি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভদ্র ব্যবহার করুক, ভাল ব্যবহার করুক, লাঠিফাটি চালাবার চেষ্টা করলে, অযথা গায়ে হাত দিলে, সেই লাঠি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা তৃণমূল কংগ্রেসের আছে।”