মহিলাদের হ.ত্যা করে খামারের শূকরকে খাওয়ানো কানাডার সি.রিয়াল কি.লার জেলেই খু.ন!

রবার্ট পিকটন কানাডার কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের একজন

নৃশংসতার চূড়ান্ত। মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে নিজের শূকর খামারে নিয়ে গিয়ে খুন করতেন রবার্ট পিকটন। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে শূকরদের খাওয়াতেন। শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে যান ভ্যাঙ্কুভারে। আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সেই পিকটনকেই এবার জেলের ভিতর নৃশংসভাবে খুন করা হল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। কারেকশনাল সার্ভিস অফ কানাডা জানিয়েছে, কুইবেক প্রদেশের পোর্ট কার্টিয়ার ইনস্টিটিউশনে বন্দি ছিলেন পিকটন। ১৯ মে অন্য এক বন্দি তাঁর উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে সিরিয়াল কিলারের।

প্রসঙ্গত, রবার্ট পিকটন কানাডার কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের একজন। পিকটনের উপর হামলার দায়ে ৫১ বছর বয়সী এক বন্দিকে হেফাজতে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। ২০০৭ সালে ২৬ জন মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন পিকটন। তবে আদালতে ৬ জন মহিলাকে খুনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। পিকটনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত। ভ্যাঙ্কুভারের পোর্ট কোকুইটলামে শূকরের ফার্ম রয়েছে পিকটনের। ওই এলাকার প্রায় কয়েক ডজন মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান। এদের মধ্যে কেউ যৌনকর্মী, কেউ মাদকাসক্ত। এককথায় সমাজ পরিত্যক্ত মহিলাদেরই টার্গেট করতেন পিকটন। তাঁর খামারে তল্লাশি চালিয়ে ৩৩ জন মহিলার দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশি জেরায় পিকটন বলেন, তিনি মোট ৪৯ জন মহিলাকে খুন করেছেন। মামলা চলাকালীন সাক্ষী অ্যান্ড্রু বেলউড আদালতকে জানান, পিকটন তাঁকে বলেছিলেন কীভাবে তিনি মহিলাদের শ্বাসরোধ করে খুন করেন, তারপর দেহের অবশিষ্টাংশ শূকরদের খাওয়ান। ঠিক একই পরিণতি হয়েছিল সিনথিয়া কার্ডিনালের বোন জর্জিনা পাপিনের। তাকেও নৃশংসভাবে খুন করেন পিকটন। জেলে পিকটনের খুনের হওয়ার খবর শুনে সেই সিনথিয়া বলেছেন, এখন আমার বোনের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। বোনের মৃত্যু পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারব।





Previous article“দেশে থাকার সবচেয়ে বড় অধিকার হারালাম”! ভোট দিতে না পেরে চরম ক্ষুব্ধ স্বস্তিকা
Next articleআজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল, রিয়ালের মুখোমুখি বরুসিয়া