মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে অবশেষে মিলল সমাধান। আগেভাগেই মেয়র রবিবারের মধ্যে এই জল যন্ত্রণা মেটার আশ্বাস দিলেও লাভের লাভ হয়নি। উল্টে মেয়ররের সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন শনিবারই শিলিগুড়ি পুরসভায় (Siliguri Municipal Corporation) গাজোয়ারির পথে হাঁটে গেরুয়া কর্মী, সমর্থকরা। পুরসভা চত্বরেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে তারা। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই জায়গা থেকে বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। তারপরও রাজ্য প্রশাসন ও পুরসভার তরফে বারবার রবিবারের মধ্যে সমস্যা মেটার আশ্বাস দিলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে পায়ের তলার মাটি হারিয়ে নয়া রাজনীতি শুরু গেরুয়া শিবিরের। তবে এদিন আশ্বাস মতো জল যন্ত্রণা মেটাতেই বেশ বেকায়দায় বিজেপি।

বিগত পাঁচদিন জল নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েন শিলিগুড়ি পুরসভার বাসিন্দারা। অবশেষে রবিবার বিকেল থেকেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছল পানীয় জল। ইতিমধ্যে ২৫, ২৬, ২৭, ২৯, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ২৮, ২০, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই পুরসভার সব এলাকায় জল পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র। মেয়র এদিন জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছেন। একাধিকবার নিয়েছেন খোঁজখবরও। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমরা তাঁর নির্দেশ মতো কাজ করেছি। তিনি আরও বলেন, পিএইচই ও সেচ দফতরের সঙ্গে পুরনিগম আলোচনা করেছে। পুরনিগমকে জানানো হয়েছে, তিস্তা থেকে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
তবে, পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে মহানন্দা সহ শহর ও লাগোয়া সমস্ত নদী সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। পুরসভা সূত্রে খবর, সেচ দফতরের সঙ্গে কেএমডিএ যৌথভাবে এই কাজ করবে। খরচ হবে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।
