ভোট গণনাকেন্দ্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে গিয়ে মুখ পুড়ল বিজেপি প্রার্থীরই। কমিশনের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে ভোট গণনা নিয়ে কোনও প্রমাণ দিতে না পারায় কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোট গণনার কাজ করার নির্দেশ বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। গণনাকেন্দ্রে যাতে গণনা টেবিলের কাছে অস্থায়ী কর্মীরা না যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনকেই দেয় আদালত।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভোট গণনার কাজে রাখা যাবে না অস্থায়ী কর্মীদের। গণনা টেবিলের কাছে তাঁদের আসার অনুমতি নেই। হাওড়ার ডিসিআরসি-তে অস্থায়ী কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, গণনার গুরুত্বপূর্ণ কাজে দায়িত্বে রাখা হচ্ছে অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের।
এই মামলার শুনানিতে গণনার কাজ অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে করানো হচ্ছে, এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি বিজেপি প্রার্থী। অন্যদিকে কমিশনের পক্ষে আইনজীবী দাবি করেন গণনার কাজে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় পোলিং অফিসার – কেউ চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নন। ফলে কোনওভাবেই প্রমাণিত হয়নি বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দেন, গণনাকেন্দ্রে অন্যান্য কাজে যে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা যাতে কোনওভাবেই গণনার টেবিলের কাছে আসতে না পারেন।
