অন্ধ্রপ্রদেশে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে (YSRC) প্রায় ১০০ আসন পিছনে ফেলে সরকার গঠনের পথে চন্দ্রবাবুর টিডিপি (TDP)। ২০১৯ সালে রাজ্যে যে পালাবদল হয়েছিল, চন্দ্রবাবুর এনডিএ যোগের পরে তা আবার উল্টোমুখি।

লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। ১৭০ আসনের অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ১২২ আসনে জয়ের পথে টিডিপি। জগনমোহন জমানায় জেলেও গিয়েছেন ২০২৩ সালে প্রবীন নেতা। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের হাত ছেড়ে লোকসভা ও বিধানসভায় এনডিএ-র সঙ্গে জোটে চন্দ্রবাবু (Chandrababu Naidu)। তবে তাঁর জেল যাওয়া যে অনেকটা শাপে বর, তেমনটা ধারণা রাজনীতিকদের।

বিধানসভার ফলাফলের ট্রেন্ড অনুযায়ী মাত্র ২৫ আসনে এগিয়ে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির (Jagan Mohan Reddy) নেত্রীত্বাধীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস। অন্যদিকে তাঁদের সঙ্গো জোটে লড়াই করা কংগ্রেসের ঝুলিতে কোনও আসন নাও আসতে পারে। প্রায় একই ফলাফলের প্রতিফলন অন্ধ্রের লোকসভাতেও। ২৫ আসনের মধ্যে ১৫টি তে এগিয়ে টিডিপি। ৫টি আসনে এগিয়ে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিজেপি পেতে পারে ৩টি আসন। কংগ্রেস লোকসভায় একটি আসন জিততে পারে।

তবে লোকসভার ফলাফলের ধারা দেখার পরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু। কেন্দ্রে আবার এনডিএ, নাকি I.N.D.I.A. জোট সরকার গঠন করবে, তার অনেকটা চন্দ্রবাবুর উপর নির্ভর করছে বলেও রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো। ইতিমধ্যেই শারদ পাওয়ারের মাধ্যমে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিরোধী জোট, এমনটাও শোনা যাচ্ছে।
