বসুনিয়া জয়ী হতেই কোচবিহারে পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগদানের হিড়িক, ২টি পঞ্চায়েত গেল তৃণমূলে

কোচবিহারে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হারতেই পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ বিজেপির উপপ্রধান-সহ ৯ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের। কোচবিহারে জয়ী তৃণমূল (TMC) প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার (Jagadish Basunia) হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। ফলে তৃণমূলের দখলে গেল কোচবিহারের ভেটাগুড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত। পাশাপাশি মাথাভাঙা-২ নং ব্লকেও বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরে সেই পঞ্চায়েতও যাবে তৃণমূলের দখলে।অমিত শাহের মন্ত্রকের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে প্রায় ৪০ হাজার ভোটে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ। ফল ঘোষণার দুদিনর মধ্যেই শুক্রবার সিতাইয়ে তাঁর বাড়ি গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যেরা। ভেটাগুড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসনসংখ্যা ১৮। তৃণমূলের দখলে ছিল ৬টি আসন। ৯ বিজেপির সদস্য যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের আসন বেড়ে হল ১৫।

মাথাভাঙা-২ নং ব্লকের পাড়াডুবি গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান পূর্ণিমা বর্মন, পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা মণ্ডল, নমিতা বর্মন, শক্তি প্রমুখ, অখিল সরকার ও বেশ কয়েকজন বুথ সভাপতি-সহ দুশো বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই অঞ্চলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ছিল ১০, বিজেপির ১২। এদিনের যোগদানের ফলে শাসকদলের আসন হল ১৩, বিজেপি-র ৯। ফলে এই গ্রাম পঞ্চায়েতেও এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল।

জগদীশ বসুনিয়া (Jagadish Basunia) জানান, “যে সব পঞ্চায়েত সদস্য আজ তৃণমূলে যোগদান করলেন, তাঁরা একটা সময় তৃণমূলেরই সদস্য ছিলেন। কোনও কারণে তাঁরা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। মানুষকে ভয় দেখিয়ে জোর করে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল। ভুল বুঝে তাঁরা ফিরে এসেছেন।“