মোদির মেরুকরণের রাজনীতি, BJP-NDAতে নেই কোনও সংখ্যালঘু সাংসদ!

হিন্দুত্বের ধ্বজা উড়িয়ে ধর্মীয় মেরুকরণে ব্যস্ত বিজেপিকে বর্জন করেছেন সাধারণ মানুষ। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়াও শরিক দলের উপর ভরসা করতে হচ্ছে মোদিকে (Narendra Modi)। এই লোকসভা নির্বাচনে কট্টর হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করেই ঝাঁপিয়েছিল পদ্ম শিবির। এবার ফলাফল প্রকাশের পর যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে সেখানে দেখা গেছে বিজেপি (BJP)তো নয়ই এমনকি এনডিএ-তেও কোনও সংখ্যালঘু সাংসদ নেই! শুধু যে মুসলিম নেই তা নয় বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান সাংসদও নেই NDA নেতৃত্বাধীন জোটে।

এবারে NDA-কে টক্কর দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট (I.N.D.I.A)। চূর্ণ হয়েছে মোদির দম্ভ। ইন্ডিয়া জোটে শুধুই যে বিজেপি বিরোধিতা করা হয়েছে তা নয় পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়াতে উচ্চ সম্প্রদায় থেকে সাংসদ হয়েছেন মাত্র ১২.৪ শতাংশ। ইন্টারমিডিয়েট কাস্ট ও ওবিসি (যাদব, কুরমি) থেকে সাংসদ হয়েছেন ৪২.৬ শতাংশ। তফসিলি জাতি ও উপজাতি থেকে সাংসদ হয়েছে যথাক্রমে ১৭.৮ শতাংশ ও ৯.৯ শতাংশ। এছাড়া মুসলিম সাংসদ ৭.৯ শতাংশ, খ্রিষ্টান ৩.৫, শিখ ৫ ও অন্যান্য কমিউনিটি থেকে ১ শতাংশ সাংসদ দেখা যাচ্ছে।

সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিজেপির তরফে ১৪.৭ শতাংশ ব্রাহ্মণ সাংসদ জয়ী হয়েছেন। রাজপুত ও অন্যান্যদের মিলিয়ে এনডিএতে এবার ৩৩.২ শতাংশ সাংসদ উচ্চ সম্প্রদায়ভুক্ত। এছাড়া ওবিসি ও ইন্টারমিডিয়েট কাস্টের থেকে সাংসদ হয়েছেন ৪১.৯ শতাংশ। তফসিলি জাতি ও উপজাতি মিলিয়ে ১৩.৩ এবং ১০.৮ শতাংশ সম্প্রদায় রয়েছে। এনডিএ’র শরিক দলগুলি থেকে এবার মাত্র ০.৯ শতাংশ মুসলিম, ০.২ শতাংশ খ্রিষ্টানকে প্রার্থী করা হয়েছিল। শিখ ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ০.২ ও ০.৪ শতাংশ প্রার্থী হলেও কেউই জয়ী হতে পারেননি। তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ মানিকাম ঠাকুর এই পরিসংখ্যান তুলে লেখেন, ‘প্রকৃত গণতন্ত্রকে চালিয়ে নিয়ে যেতে ধর্মীয় বৈচিত্রের প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ‘আঙ্কেলজি’তা হতে দেবেন না।’ অনেকেই বলছেন এনডিএ’র অন্যান্য শরিকদলগুলি যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে প্রার্থী দেয়নি তা কিন্তু নয় সবটাই হয়েছে বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদের জেরে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের এই হাল।

 

Previous articleনির্বাচন শেষ, ফের বকেয়া আদায়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে পদক্ষেপ
Next articleআত্মনির্ভরতার জ্ঞান দিয়ে পরনির্ভর মোদি: কটাক্ষ তৃণমূলের