মাসির বাড়ি থেকে রথে চেপে গড়গড়িয়ে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ফিরলেন বাড়িতে। শনিবার সকাল থেকেই দিঘায় এই উল্টোরথযাত্রাকে (Rath Yatra) কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস এবং উন্মাদনা। বিকেল চারটের পর শুরু হয় রথ টানা। তিনটি রথের সামনেই সোনার ঝাড়ু দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করেন মন্দির ট্রাস্টের সদস্য রাধারমণ দাস (Radharamon Das)। মন্ত্রীরা রথের রশিতে টান দিয়ে রথ টানা শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Benerjee) নির্দেশমতো দিঘায় রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেন ও পুলক রায়। রয়েছেন খোদ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং ডিজি রাজীব কুমারও। উল্টোরথের যাবতীয় বিষয় তদারকি করছেন।

দুপুর দুটোর পর থেকে একে একে পাহান্ডি বিজয়ের মাধ্যমে মাসির বাড়ি থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে বের করে নিয়ে এসে রথে তোলা হয়। রথেই তাঁদের শুকনো মিষ্টান্ন অর্পণ করা হয়। এরপর তিনদিন চলবে মান-অভিমান পর্ব। দেবী লক্ষ্মী ঢুকতে দেবেন না তাঁদের। ফলে তিনদিন রথেই থাকবেন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। আগামী ২৮ তারিখ রথ থেকে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন তাঁরা। শনিবার উল্টোরথকে (Rath Yatra) কেন্দ্র করে মাসির বাড়ির তরফ থেকে অন্ন মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রায় দশ হাজার মানুষকে প্রসাদ খাওয়ানো হয়। এরপর একে একে চলে আচার-বিধি। প্রায় পঞ্চাশের বেশি পদ দিয়ে আজ মাসির বাড়িতে জগন্নাথদেবকে রাজভোগ অর্পণ করা হয়। সেই দৃশ্য দেখতে মানুষজনের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্টোরথেও একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ও ১৬টি অ্যাম্বুল্যান্স ছিল।

নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাঁশের ব্যারিকেডের দু’ধার থেকে সাধারণ ভক্তদের জন্য রথের রশি স্পর্শ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে প্রায় ২০০ জন মহিলা লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে রথযাত্রায় অংশ নেন। দিঘার রথযাত্রা দেখতে এসেছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত জাক্কা প্রসাদ আচার্যওয়াল। রথ দর্শনে আসা সাধারণ মানুষের মৌলিক বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখে রাস্তার ধারে করা হয়েছে একাধিক জলের কাউন্টারও। রাস্তার দু’ধারে রথ দর্শনের জন্য হাজার হাজার ভক্তের ঢলে দিঘা যেন এখন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আরও পড়ুন : অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য ৭ জেলায় পুষ্টিকর খাবার প্যাকেট বিতরণে উদ্যোগ রাজ্যের

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
–
