জেলে বসেই ওমরের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ জয়’! বারামুল্লার নির্দল প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার রশিদকে চেনেন?

জেলবন্দি অবস্থাতেই লোকসভা ভোটে বাজিমাত করেছেন। কিন্তু জেলবন্দি অবস্থায় শপথগ্রহণ (Oath Taken) নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। আর সেকারণে ভোটে জিতলেও নাকি মাথাব্যথা পিছু ছাড়ছে না। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারামুল্লা আসন থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহকে ৪ লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে ভোটে জয় পেয়েছেন। কিন্তু কীভাবে এল এমন সাফল্য? কত টাকাই বা খরচ হয়েছিল তাঁর নির্বাচনী প্রচারে? একজন নির্দল প্রার্থী হয়ে জেলে বসেই কীভাবে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠলেন শেখ আব্দুল রশিদ (Seikh Abdul Rashid), তা সর্বসমক্ষে আনলেন রশিদ পুত্র আব্রার রশিদ।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রশিদ। কিন্তু চলতি লোকসভা ভোটে কীভাবে এল এই সাফল্য? জেলে বসে থাকলেও এত বিপুল মার্জিনে কীভাবে জয় পেলেন তিনি সেই সমস্ত রহস্যেরই এবার পর্দাফাঁস হল। রশিদের ছেলে পরিষ্কার জানান, এই জনাদেশ মানুষের জয়। পাশাপাশি তাঁর বাবার প্রচারে ঠিক কত টাকা খরচ হয়েছে তিনি তাও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মাত্র ২৭ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে বারামুল্লার এই নির্দল প্রার্থীর প্রচারে। বাবার হয়ে সব দায়িত্ব সামলেছেন বছর বাইশের আব্রার রশিদ। আব্রার জানিয়েছেন, প্রচারে গাড়িতে তেল ভরার জন্যই এই টাকা খরচ হয়েছে। গাড়ি চেপে তিনি বারামুল্লা কেন্দ্র প্রায় চষে ফেলেছেন বলে খবর। কিন্তু এতটুকু টাকায় কী আর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যেতে পারে? আব্রার জানিয়েছেন, হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রচারে বিপুল অনুদান দিয়েছেন। তার ফলেই বিপুল ব্যবধানে জয়।

২০০৮ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন রশিদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি। সেকারণেই তিনি ইঞ্জিনিয়ার রশিদ নামে বহুল পরিচিত। এরপরই ইস্তফার দেওয়ার পর মাত্র ১৭ দিন প্রচার করে জিতেছিলেন ভোটে। ২০১৯ সালে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি জেলে। দুই ছেলে আব্রার এবং আসরারই সামলেছেন প্রচার। আর তাতেই ফল মিলল হাতেনাতে। তবে বিপুল ব্যবধানে জয়ের পরও আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না রশিদের ছেলেদের। বাবা জেলবন্দি অবস্থায় কীভাবে সংসদে গিয়ে শপথগ্রহণ করবেন তা নিয়ে একাধিক জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে নিয়মমাফিক শপথ গ্রহণের আগে রশিদকে জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে হবে। পাশাপাশি জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতেই সংসদে গিয়ে শপথ নিতে পারবেন তিনি। কিন্তু তাঁকে ফিরতে হবে জেলেই। কিন্তু লোকসভায় অনুপস্থিত থেকে কীভাবে তিনি সংসদের সদস্য থাকতে পারেন তা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক হবে বলে খবর। তবে নিয়ম অনুযায়ী রশিদ যদি দোষী সাব্যস্ত হন বা যদি দুবছর জেলে থাকতে হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ পদ হারাবেন তিনি।

Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম 
Next articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে