পুনের নাবালক গাড়ি চালকের বাবার বেআইনি নির্মাণ! গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের বিরাট মাপের বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এবার সেই সব দুর্নীতির পর্দা সরিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল মহারাষ্ট্র প্রশাসন

শুধুমাত্র নাবালককে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া নয়। খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ডাক্তার, চিকিৎসক আধিকারিকদের হাত করেছিলেন যে বিশাল আগরওয়াল। একটি ঘটনা যে তাঁকে রাতারাতি এত বড় দুষ্কর্ম করতে এগিয়ে দিয়েছে তেমনটা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের বিরাট মাপের বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এবার সেই সব দুর্নীতির পর্দা সরিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল মহারাষ্ট্র প্রশাসন। অবশেষে দুটি তরতাজা প্রাণের বিনিময়ে জেগে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করল মহারাষ্ট্রের শিন্ডে প্রশাসন।

বেনিয়ম, সেই সঙ্গে পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ীদের কীভাবে তোষণ করে আগলে রেখেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন, তার একটি উদাহরণ এই বিশাল আগরওয়াল। সরকারি জমিতে পার্সি সম্প্রদায়কে লিজে দেওয়া জিমখানা গোটাটাই নিজের নামে করে নিয়েছিলেন বিশাল। পুনের সাতারা এলাকার মহাবালেশ্বর পার্সি জিমখানার সদস্য হিসাবে কার্যত সূঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোন তিনি। জিমখানাকে পুরোপুরি রিসর্ট বানিয়ে ফেলেন। তদন্তে নেমে চোখ কপালে জেলাশাসকের।

মহারাষ্ট্রের প্রশাসনের নাকের তলা দিয়ে এই বেনিয়ম প্রকাশ্যে চলে আসার পরে সজাগ হওয়া শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। নির্দেশ দেওয়া হয় রিসর্ট গুঁড়িয়ে দেওয়ার। সাতারা প্রশাসন সেই রিসর্ট গুঁড়িয়ে দিলেও তাতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত দুই আইটি পেশায় যুক্ত তরুণ-তরুণীর মৃত্যুর বিচার হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র পুলিশ গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যুর তদন্তে ভারতীয় সেনার সাহায্য চেয়েছে। গাড়ির গতিবেগ ও প্রাবল্যের উপর পরীক্ষা চালানো হবে তাঁদের সাহায্যে।