মন্ত্রিত্ব নিয়ে বাড়ছে বিক্ষোভ, এবার পূর্ণমন্ত্রিত্ব চাইছে শিবসেনা

যেখানে কুমারস্বামীর দল দুটি ও জিতিন রামের দল একটি মাত্র আসন জিতেছে, সেখানে সাতটি আসন জিতে একটি পূর্ণমন্ত্রিত্ব না পেয়ে কার্যত হতাশ

সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দেওয়া নরেন্দ্র মোদির সামনে একের পর এক চ্যালেঞ্জ এনডিএ শরিকদের। মন্ত্রিত্ব ঘোষণা হওয়ার পরই একের পর এক শরিক দলের বিদ্রোহী মনোভাব কার্যত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে তৃতীয় মোদি সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েই। মহারাষ্ট্রের এনসিপি-র পরে এবার শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবিরও বিদ্রোহী। শরিকরা এখন ‘সময়’ দিচ্ছে বিজেপিকে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফাঁদ থেকে বিজেপি কীভাবে বেরোয় সেটাই প্রশ্ন।

রবিবার বিদ্রোহী হয়েছিলেন প্রবীণ এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল। তাঁর দাবি ছিল মোদি সরকারের পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রীর পদ তাঁদের জন্য অবনমন। তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন দলের নেতা অজিত পাওয়ারও। অন্যদিকে কেরালার একমাত্র বিজেপি সাংসদ সুরেশ গোপিও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এবার আবার বিক্ষোভের সুর মহারাষ্ট্রে। এবার বিদ্রোহী শিবসেনা শিন্ডে শিবির।

দলের সাংসদ শ্রীরঙ্গ বার্নে দাবি করেন লোকসভায় সাতটি আসন জয়ের পরে মন্ত্রিসভায় একজন পূর্ণমন্ত্রী অন্তত তাঁরা আশা করেন। তাঁর দাবি, এনডিএ শরিকদের মধ্যে ডেজিএউ ও টিডিপির পরে সবথেকে বেশি আসন জিতেছে শিবসেনা শিন্ডে শিবির। সেক্ষেত্রে তাঁদের থেকে কম আসন জেতা চিরাগ পাসোয়ানকেও পূর্ণমন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। ডেজিইউ ও টিডিপিকে যেখানে দুজন করে মন্ত্রী দেওয়া হয়েছে, সেখানে শিবসেনা, বিজেপির সবথেকে পুরোনো সঙ্গীও একটি পূর্ণমন্ত্রীর পাশাপাশি একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ প্রত্যাশা করেছিলেন।

বার্নের আরও দাবি, কুমারস্বামী, জিতিন রাম মাঝির দলকে অন্তত একটি করে পূর্ণমন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে কুমারস্বামীর দল দুটি ও জিতিন রামের দল একটি মাত্র আসন জিতেছে, সেখানে সাতটি আসন জিতে একটি পূর্ণমন্ত্রিত্ব না পেয়ে কার্যত হতাশ তারা। শিবসেনা শিন্ডে শিবির মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদদের সঙ্গেও তুলনা করেছে। মহারাষ্ট্র থেকে বিজেপির চারজন পূর্ণমন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। বার্নে নিজে তিনবারের জয়ী সাংসদ। তারপরেও বঞ্চনার শিকার। শিবসেনার অসন্তোষের বিষয়টি তাঁরা বিজেপিকে জানাচ্ছেন, এবং বিজেপি পাল্টা কী পদক্ষেপ নেয়, সেই অপেক্ষা করবে তারা।