উত্তর পুড়বে তাপে, সংকট জলের; পশ্চিমের উপকূল ভাসবে বর্ষায়!

দিল্লির জন্য জলের দরবারের বদলে বিজেপি সরকারে তাবেদারি করেই চুপ করে যান ভিকে সাক্সেনা, অভিযোগ আপের

একদিকে যখন দেশের উত্তর ও পশ্চিমের রাজ্যগুলি পুড়ছে প্রবল তাপপ্রবাহে তখনই পশ্চিমের উপকূলীয় এলাকা ভেসে যাচ্ছে প্রবল বর্ষায়। ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের এক চরম প্রাকৃতিক সংকটের নজির দেখছে ২০২৪ সাল। তবে আগামী পাঁচদিনও দেশের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতাই জারি থাকছে। সেই সঙ্গে জলসংকটের থেকে রাজধানীর মুক্তি নিয়ে এখনও কোনও বার্তা দিতে পারেননি লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। উল্টে হরিয়ানার সঙ্গে কথা বলার পর তিনি হরিয়ানার পক্ষ নিয়েই জল সংকটে নেতিবাচক উত্তর দিয়েছেন।

দিল্লির জলসংকট নিয়ে সোমবারই লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সঙ্গে দেখা করেন আপের মন্ত্রী অতসি ও সৌরভ ভরদ্বাজ। হরিয়ানার কাছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অতিরিক্ত জলের জন্য আবেদন করেন তাঁরা। এরপর দিল্লির এলজি হরিয়ানার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নওয়াব সিং সাইনির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আর সেই ফোনালাপের পরে এনজি জানান, হরিয়ানা নিজেদের কোটা অনুযায়ী জল ছেড়ে দিয়েছে দিল্লির জন্য। অর্থাৎ দিল্লির জন্য জলের দরবারের বদলে বিজেপি সরকারে তাবেদারি করেই চুপ করে যান ভিকে সাক্সেনা, অভিযোগ আপের।

অন্যদিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরাখণ্ড, জম্মুর কিছু অংশ থেকে হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ এলাকাতেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে। বুধ ও বৃহস্পতিবারও উত্তরাখণ্ড থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিচ্ছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।

গোটা উত্তর ভারতের তাপপ্রবাহের এই পরিস্থিতিতেও জলে ভাসছে মহারাষ্ট্রের কিছু এলাকা। পশ্চিম উপকূলে বিশেষত কোঙ্কন উপকূল এলাকায় গত ৪৮ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রে মঙ্গলবারের পরে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও গোয়া ও সংলগ্ন মহারাষ্ট্রের উপকূল এলাকায় থাকছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কর্ণাটকও। অন্যদিকে হিমালয় পার্বত্য এলাকায় সিকিম ও উত্তর পূর্বের অসম, বাংলার উত্তরের কিছু রাজ্যে বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। ইতিমধ্যেই প্রবল বৃষ্টির বিপর্যস্ত সিকিমের গ্রামগুলি। বৃষ্টি বাড়লে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে পড়বে।