সোনার দোকানে সশস্ত্র ডাকাতদলের লুঠপাট! রানিগঞ্জের স্মৃতি ফিরল হাওড়ায়

রানিগঞ্জে দুষ্কৃতীদের ডাকাতির রোমহর্ষক ‘কাহিনী’র রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ডাকাতদলের হামলা হাওড়ার ডোমজুড়ে। বন্দুক হাতে ডাকাতদল রীতিমত মারধর করে লুঠ করে নিয়ে গেল সোনা সহ মূল্যবান গয়না। মঙ্গলবার দুপুরে চারজন সশস্ত্র ডাকাত হামলা চালায় ডোমজুড়ের ওই সোনার দোকানে। বন্দুকের বাট দিয়ে কর্মচারীদের মেরে বেঁধে রাখারও অভিযোগ। ডাকাতদের ধরতে ইতিমধ্যেই হাওড়া এলাকার সর্বত্র শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি। ডোমজুড় থানার পুলিশের সঙ্গে ঘটনার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগও।

মঙ্গলবার দুপুরে ডোমজুড়ের জনবহুল এলাকায় একটি সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দোকান থেকে সব ক্রেতা বেরিয়ে যাওয়ার পরই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তারা। প্রথমে দোকানের নিরাপত্তারক্ষীকে ভিতরে এনে বেঁধে রেখে দেওয়া হয়। এরপর দোকানের মালিক রাকেশ দাসকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে তারা। উদ্দেশ্য ছিল রক্তপাত ঘটিয়ে সবার মনে ভয় তৈরি করা। দোকানের তিন কর্মীকে বেঁধে রেখে প্রচুর সোনা ও নগদ ব্যাগে ভরে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

ঘটনায় ফের বিহার যোগের সম্ভাবনা খারিজ করে দিচ্ছে না গোয়েন্দা বিভাগ। যে চার সশস্ত্র দুষ্কৃতী হানা দেয় ডোমজুড়ের দোকানটিতে তারা হিন্দিভাষী বলে দাবি দোকানের কর্মীদের। লুঠপাটের পরে দোকানের সামনের রাস্তা দিয়ে সোজা সেই দিকেই তারা বেরিয়ে যায় যেদিকে ১১৬-বি জাতীয় সড়ক। এই পথেই পূর্ব মেদিনীপুর হয়ে ঝাড়খণ্ড চলে যাওয়া সহজ। তবে সব রকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।