সুপ্রিম কোর্টের পর এবার NTA-কে নোটিশ দিল্লি হাইকোর্টের

NEET-এর ফলাফলে অনিয়ম নিয়ে এবার NTA-কে নোটিশ পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগের জেরে তোলপাড় দেশ। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সব মিলিয়ে ৬৭ জন প্রথম হয়েছেন। এই বছর, NEET-UG ২০২৪ -এর পরীক্ষা দিয়েছিল প্রায় ২৪ লক্ষ মেডিক্যাল পড়ুয়া। ১৪ জুনের পরিবর্তে ভোটের রেজাল্টের দিন অর্থাৎ ৪ জুন ফল ঘোষণা হয় আর তারপরেই প্রকাশ্যে এসেছে দুর্নীতির অভিযোগ। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত জানায় যে এখনই কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হচ্ছে না। তবে আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে জবাবদিহি করতে হতে এনটিএ-কে। এরপর আজ বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের তরফেও অনিয়মের অভিযোগে এজেন্সিকে (NTA)নোটিশ পাঠানো হল। প্রশ্ন ফাঁস বিতর্ক থেকে গ্রেস নম্বর, নিট পরীক্ষায় দুর্নীতি প্রশ্নে এবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাছে জবাব চাইলো আদালত। পাশাপাশি এবার NEET-UG ২০২৪ সালের পরীক্ষার্থীদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দেওয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে গ্রেস মার্কস সংক্রান্ত তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির দ্বারা গঠিত প্যানেল দিয়ে তদন্ত চলবে না।

চলতি বছর NEET ফলাফলে দেখা গেছে যে ৬৭ জন প্রথম হয়েছেন। এনাদের মধ্যে ৬ জন একই বা কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এসেছেন, ৭২০ নম্বরের পারফেক্ট স্কোর অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, শীর্ষ স্থানাধিকারী সকলেই একই কোচিং সেন্টারের পড়ুয়া বলে অভিযোগ সামনে এসেছে (NEET Row)।

এনটিএ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে প্রায় ৩ লক্ষ বেশি পড়ুয়া পরীক্ষায় বসেন। পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতেই প্রাপ্ত নম্বরও বেড়েছে। ২০২৪ সালের NEET তুলনামূলক ভাবে সহজতর করে তোলা হয় বলেও যুক্তি দেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। আসলে এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় চারটি বিষয়ে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকে, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, জুলজি এবং বটানি। প্রত্যেক বিষয়ের উপর ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এর মধ্যে মূল্যায়নের জন্য সর্বাধিক ৪৫টি প্রশ্নই বিবেচনা করা হয়। ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটের মধ্যে ১৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সঠিক উত্তরে ৪ নম্বর আর ভুল উত্তরের ক্ষেত্রে ১ নম্বর করে কাটা যায়। এবার কেউ যদি প্রশ্ন ছেড়ে দেন তাহলে কোনও নেগেটিভ মারকিং নেই। যেহেতু প্রত্যেকটি অপশন ঠিক হলে, প্রত্যেক চেষ্টাতেই ৪ নম্বর করে মেলে তাই এবারে প্রাপ্ত নম্বরের হিসেব মেলানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। অনেকেই বলছেন ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোটের ফলাফলের দিন এই পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হয় যাতে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরানো যায়। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষোভে নেমেছেন একাধিক ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

 

Previous articleসংকোশ নদীতে জামাইষষ্ঠীর আগের রাতে জালে ৮২ কেজির বাঘা আড় মাছ
Next articleপুনের পরেই নাগপুর! সম্পত্তির জন্য গাড়ি চাপা, শ্বশুরের ঘাতক বৌমা!