দেশজুড়ে উধাও মোদি ম্যাজিক। যার প্রভাব পড়েছে তাঁর নিজের কেন্দ্র বারাণসীতেও (Varanasi)। জিতলেও ভোটের ব্যবধান কমেছে অনেকটাই। এমনকি, আনকোড়া এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে গণনায় দু-একটি রাউন্ডে পিছিয়ে ছিলেন মোদি। সেই জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করে বললেন, “লোকসভা ভোটে আমার বোন প্রিয়াঙ্কা যদি বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ২-৩ লক্ষ ভোটে হারিয়ে দিত”!
একদা ‘পাপ্পু’ কটাক্ষের শিকার হতেন যিনি, সেই রাহুলের মুকুটেই এবার জোড়়া পালক। নিজের কেন্দ্র কেরলের ওয়ানাড় থেকে জিতেছেন বিশাল মার্জিনে। আবার সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলিতেও রেকর্ড ৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্য দীনেশ প্রতাপ সিংকেও।
ভোটের জেতার পর রায়বরেলি পা রাখেন রাহুল। স্রেফ সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা জানানো নয়, জনসভাও করেন তিনি। কংগ্রেস শীর্ষ নেতা বলেন, “ঔদ্ধত্য থেকে বলছি না। আমি বলছি, কারণ ভারতের জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, মোদির রাজনীতিতে তাঁরা খুশি নন। ঘৃণা ও হিংসার বিপক্ষের রায় দিয়েছেন মানুষ”।
রাজীব-কন্যাকেও কি এবার সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যাবে? জল্পনা দীর্ঘদিনের। বস্তুত, এবার লোকসভা ভোটে রায়বরেলি বা আমেঠি থেকে প্রিয়াঙ্কা ভোট দাঁড়াতে পারেন, এমন গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। যদিও শেষপর্যন্ত তা হয়নি। সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্রে রায়বরেলি প্রার্থী হন রাহুল, আর আমেঠিতে কেএল শর্মা। দুটি কেন্দ্রেই জিতেছে কংগ্রেস। আমেঠি হেরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
এদিকে ২০১৪, ২০১৯-পর ২০২৪। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্রে থেকে ফের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু গতবার ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ভোটের ব্যবধান জিতেছিলেন তিনি। এবার সেই ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অজয় রাই পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৫৭টি ভোট। আর মোদির ঝুলিতে ৬ লক্ষ ১২ হাজার ৯৭০ ভোট।