লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম, ভয়ঙ্কর ছবি তিস্তা বাজারেও

সিকিমে (Sikkim) লাগাতার বৃষ্টির (Rain) জের! তার জেরেই ভয়াল রূপ নিল তিস্তা নদী। ইতিমধ্যে জলে প্লাবিত হয়েছে কালিম্পঙের তিস্তা বাজার এলাকা। কয়েকদিন ধরেই সিকিমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর জেরে বুধবার রাত থেকেই তিস্তার জল বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার তা বিপদসীমায় পৌঁছে গিয়েছে। তবে যেভাবে জলস্তর বাড়ছে তাতে তিস্তা বাজার সহ কালিম্পঙের একাধিক এলাকার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘর ছেড়েছেন অনেকেই। কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তিস্তা পারে থাকা বাসিন্দারা যাতে নিরাপদে থাকেন, সেই জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।

তবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিমের মঙ্গন, ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা সীমানার কালিম্পং জেলার তিস্তা বাজার এলাকাও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি বদলানোর কোনও আশা নেই কারণ বৃহস্পতিবারও উত্তর সিকিমে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যে পূর্বাভাস মিলিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার ফলে উত্তর সিকিমের মঙ্গন, চুংথাং, লাচুং, লাচেন-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। বুধবার রাতে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে বিপর্যয় নেমে আসে উত্তর সিকিমে। রিম্ভিকখোলার কাছেও একই পরিস্থিতি। যার ফলে বিশেষ ভাবে সমস্যায় পড়েছেন মঙ্গন জেলার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে প্রশাসন কোমর বেঁধে উদ্ধার এবং ত্রাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উত্তর সিকিমে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা একযোগে কাজও শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে, সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় কাদা, পলি জমেছে। তবে কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেই কারণে গাড়িগুলিকে ধীরে যেতে বলা হচ্ছে। সকাল থেকেই রাস্তায় ট্র‍্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা এই মুহূর্তে জলের তলায়। সেখান দিয়ে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে পর্যটকরাও বেজায় সমস্যার মুখে।

গত বছর হড়পা বানে তিস্তা বাজার এলাকার বহু বাড়ি ভেসে যায়। এদিন ভোর থেকেই বহু বাড়িতে ফের জল ঢুকতে শুরু করেছে। তবে যেভাবে জল বাড়তে শুরু করেছে তাতে তিস্তা বাজার এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা চিন্তায় রয়েছেন। আতঙ্কে অনেকেই দোকান খোলেননি। এদিকে মোবাইল নেটওয়ার্কের বিস্তর সমস্যা দেখা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। বৃষ্টি না কমলে পরিস্থিতি আরও আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী কয়েকদিন পাহাড় এবং সংলগ্ন এলাকাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন করে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমী বায়ু। আর সেই কারণেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে।


Previous articleআচমকাই অসুস্থ পার্থ! দেরি না করে SSSM-কে চিঠি জেল কর্তৃপক্ষের 
Next articleরেশন বণ্টন মামালায় ঋতুপর্ণার সঙ্গে ইডির নজরে আরও ৫০!