রেকর্ড ব্যবধানে জয়: দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের

শুরুটা হয়েছিল প্রায় একবছর আগে নবজোয়ার যাত্রা দিয়ে। তারপর প্রায় তিনমাস লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্ব। বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণে চষে বেড়িয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) মানুষের কাছে তাঁর আবদার ছিল, রেকর্ড মার্জিনে জেতানো। ভোটাররা কথা রেখেছেন। এখনও পর্যন্ত বাংলার ভোটে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক। শুক্রবার, ডায়মন্ড হারবারের আমতলায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।লোকসভার প্রচারে ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) গিয়ে অভিষেক শুধু বলেছিলেন, “আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসিনি। পরিবারের লোকেদের কাছে কেউ ভোট চায় না। সারা বছর আপনাদের সুখে-দুঃখে আপনাদের ঘরের ছেলে পাশে থাকে। তাই আলাদা করে ভোট চাওয়ার দরকার নেই।“ বরাবরই নিজের কেন্দ্রের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল অভিষেক। কোভিড থেকে আমফান-যশ, এমনকী সাম্প্রতিক রেমালের সময়ই নিজের কেন্দ্রের মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিষেক। এমনতী তৃণমূল সুপ্রিম পর্যন্ত বলেন, “অভিষেক যা নিজের কেন্দ্রের জন্য করে, আমি ওকে জিজ্ঞাসা করি তুই পারিস কী করে!” ভোটের ফল বেরোর পরে দেখা যায়, ৭ লক্ষ ১০ হাজারের কিছু বেশি ভোটে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের গড়ে তৃতীয়বারের জন্য সংসদে যাচ্ছেন অভিষেক। এদিন বিকেল ৪টের কিছু পরে তিনি আমতলায় পৌঁছন তিনি। তার আগে থেকেই সেখানে উপচে পড়ে ভিড়। জেলার সমস্ত প্রান্ত থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির মাথা, পঞ্চায়েত সদস্য, জেলা পরিষদের সকল সদস্য-সহ কাতারে কাতারে কর্মীরা আসেন অভিষেককে শুভেচ্ছা জানাতে। প্রায় সকলের হাতেই ছিল ফুলের তোড়া। কারও হাতে আবার ছবি। কেউ এনেছিলেন উত্তরীয়। মিষ্টি নিয়েও হাজির হন কেউ কেউ।

দলীয় কার্যালয়ে সকলের সঙ্গেই কুশল বিনিময় করেন অভিষেক। হালকা চালে ভোট-পর্ব নিয়ে কিছু আলোচনা হয়। মাসখানেক বাদে ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত যে ৭টি বিধানসভা এবং পুর এলাকা রয়েছে তার ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনা করবেন অভিষেক। একইসঙ্গে আগামী দিনে এই লোকসভা কেন্দ্রে উন্নয়নের রোড-ম্যাপ তৈরি করবেন তৃমূল সাংসদ। তার আগে এলাকা ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা সেরে নেবেন। এই কেন্দ্রে বিপুল জয় ও কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের পরে এদিন গোটা সময়টাতেই ছিল অন্য মেজাজ। সকলকে মিষ্টিমুখও করান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।





Previous articleঅভিধানে নেই “বিশ্রাম”! জিতেই এলাকা উন্নয়নে নেমে পড়লেন যাদবপুরের সায়নী
Next article২২ জুলাই লোকসভার সম্ভাব্য বাদল অধিবেশন, পেশ হবে বাজেট