ভোট প্রচারের সময় “প্রতিবাদী”, আঙুল উঁচিয়ে পুলিশকে হুমকি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি! আর গো-হারা হারের পর নিরুদ্দেশ! গত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফলের দিন সেই যে গণনা কেন্দ্র থেকে মুখ ভার করে বেরিয়ে গেলেন, তারপর এলাকা থেকে কার্যত ভ্যানিশ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। দলের নিচুতলার কর্মীদের খোঁজ খবর পর্যন্ত নেননি রেখা।

ভোট প্রচার পর্বে বসিরহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেরিয়েছিলেন রেখা। শুভেন্দু অধিকারীর ফাঁদে পড়ে আর প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে ধরা কে সরা করছিলেন রেখা। আর ফলাফলের পর সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন কলকাতার সল্টলেকে। সন্দেশখালির একজন সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, তাঁকে জেতানোর জন্য বিজেপিতে যে সকল কর্মীরা প্রাণপাত করেছিলেন তাঁদেরও খোঁজ নেননি রেখা। ফোন পর্যন্ত ধরেননি


এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রেখা। কিন্তু নদী পেরিয়ে আন্দোলনের আঁতুড়ঘরে পৌঁছতে পারেননি তিনি। রাজবাড়িতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করলেও বিজেপি নেতাদের বড় অংশই তাঁকে দেখে মুখ ফেরান। অনেকেই বলছেন, তাঁরা প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর দেখা পাননি।এরপর তাঁদের সংযোজন—’‘এতদিন কোথায় ছিলেন বাহাদুর বেটি?’’

প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে বসিরহাট লোকসভা আসনে পরাজিত হয়েছেন মোদির স্নেহধন্য রেখা পাত্র। ভোট গোনার কাজ শেষ হওয়ার আগেই তিনি গণনাকেন্দ্র ছাড়েন। আর সেই যে ছাড়েন, তারপর আর বসিরহাটের পথ মারাননি তিনি, এমনটাই অভিযোগ। শেষমেশ বসিরহাটের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে তিনি ‘নিরাপদ’ জায়গা সল্টলেকে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যাঁর জন্য তাঁরা লড়লেন বিজেপি কর্মীরা, সেই রেখাই বেপাত্তা! স্থানীয় বিজেপি নেতাদের কথায়, আসলে উনি হাতে চাঁদ পেয়ে যাওয়ায় যা হওয়ার তাই হয়েছে।


আরও পড়ুন- চার কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের, বাগদায় চমক মধুপর্ণা
