Thursday, August 21, 2025

দেশের বৃহত্তম শিক্ষা কেলেঙ্কারির নাম NEET। এর পেছনে অনেক বড় বড় মাথারা জড়িয়ে আছেন। ইডি (ED) বা সিবিআই (CBI)নয়, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ধরে আনা হোক “ধেড়ে ইঁদুরদের”। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুক্রবার তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)নির্দেশে খেজুরি যাচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, শিউলি সাহা, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও কাঁথি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক। তার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাম না করেই প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) একহাত নেন কুণাল। তিনি বলেন, যাঁরা রাজ্যের নিয়োগ মামলায় একের পর এক ‘হুকুম’ দিচ্ছিলেন, তাঁদের বিবেক এখন কী বলছে? নিট (NEET) দুর্নীতি নিয়ে কেন একটি শব্দও খরচ করতে দেখা গেল না তমলুকের সাংসদকে? এরপরই কুণাল বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে বড় বড় প্রভাবশালীদের যোগ রয়েছে। সেই মাথাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে।

লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। যেখানে হেরেছে সেখানে ঘাসফুলের নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। খেজুরিও তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানে আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়িতে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। খেজুরি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে জিতেছে পদ্ম শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী জেতার পর থেকেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির হাতে আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। অথচ রাজভবনের সামনে নাটক করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন কুণাল বলেন, নাটক করতে হলে শহিদ মিনারের রেলিং এ সাতদিন দাঁড়িয়ে থাকুন, অনেক বেশি মাইলেজ পাওয়া যাবে। আসলে বিজেপির অন্দরের কোন্দল সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। বড় বড় পদে থাকা নেতারা দলের কর্মীদের কাছেই ভিলেন। বিজেপিতে ঘরছাড়া একমাত্র দিলীপ ঘোষ। বাকিদের প্যাকেজ ট্যুরে কলকাতা দেখাতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। রাজ্যপাল বিজেপির ব্যাজ লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর বিজেপি পরাজয় থেকে নজর ঘোরাতে এই নাটক করছে বলেই মন্তব্য তাঁর। বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কুণাল বলেন, মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে এবং ভোটে তার প্রতিফলন ঘটেছে। আগামীতেও ব্যতিক্রম হবে না। লোকসভা আর বিধানসভার প্রেক্ষিত আলাদা। এই ভোটে বিধায়ক নির্বাচন করা হয়ে গেলে রাজ্য সরকার তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঐসব এলাকার উন্নয়নে আরও বেশি করে কাজ করতে পারবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই থাকবেন বাংলার মানুষ।

 

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version