এবার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, প্রতীক নিতে তৃণমূল ভবনে হাজির ৩ প্রার্থী

লোকসভা ভোটে মিটতে না মিটতেই রাজ্যের চার বিধানসভা উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই চার কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল। শনিবার, দলের প্রতীক নিতে তৃণমূল (TMC) ভবনে আসেন তিন প্রার্থী। বাগদা কেন্দ্রের প্রার্থী তরুণতুর্কি মধুপর্ণা ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর মা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)। ছিলেন মানিকতলা কেন্দ্রের প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে (Supti Pandey) ও রানাঘাট দক্ষিণের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির তত্ত্বাবধানে ফর্ম পূরণ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বুঝে নেন তাঁরা। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ডু’জ অ্যান্ড ডোন্টস বুঝিয়ে দেওয়া হয় প্রার্থীদের।  লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিপুল সাফল্যের পর এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও তৃণমূল প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন, এ বিষয়ে আশাবাদী নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই চার কেন্দ্রেই তৃণমূলের দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তার আগে তৃণমূল ভবনে এসে প্রতীক-সহ রাজ্য সভাপতির দিকনির্দেশ শুনলেন সকলে। সুব্রত বক্সি ছাড়াও এদিন তৃণমূল ভবনে ছিলেন বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, জয়া দত্ত, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এবং প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

বাগদার তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর বললেন, “আমাকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন, আমি কৃতজ্ঞ। এই লড়াইটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছি। আমি ছোট থেকেই ঠাকুরবাড়িতে মা, বাবা-সহ সকলকে রাজনীতির  আবহে থাকতে দেখেছি। ফলে এই পরিবেশটা আমার কাছে নতুন নয়। আমি জিতে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আশা করি সেই সুযোগ আমি পাব। বাগদার মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করবেন।“ বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা। গোটা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়ন করেছেন, তার ছাপ পড়েছে বাগদাতেও। প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সেখানে। রাজ্যের মানুষ তৃণমূলের পাশে রয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে, বাগদার মানুষও থাকবে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের কোনও প্রভাব এই ভোটে পড়বে না।“





Previous articleগানের পাশাপাশি কবিতা পাঠেও ইমন চক্রবর্তী, মঞ্চে পরিবেশিত হলো হিয়ার মাঝে
Next articleযত্রতত্র কোরবানি নয়! প্রশাসনের নির্দেশ মেনে বকরি ঈদ পালনের নির্দেশ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর