যত্রতত্র কোরবানি নয়! প্রশাসনের নির্দেশ মেনে বকরি ঈদ পালনের নির্দেশ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর

সোমবার বকরি ঈদ (Bakri Eid)। ইতিমধ্যে দেশের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যেও শুরু হয়েছে জোরকদমে প্রস্তুতি। শুক্রবার বকরি ঈদকে সামনে রেখেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddikullah Choudhury)। যেখানে বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে ধর্মীয় মেরুকরণের কারণে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে, সেখানে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার ধর্মকে সরিয়ে রেখে উৎসবে সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। সে দুর্গা বা কালীপুজোই হোক বা ঈদ ও বড়দিন, রাজ্যবাসীকে উৎসবে সামিল করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে নবান্নকে (Nabanna)। যেখানে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে বকরি ঈদকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করেছে মোদি সরকার। সেখানে ঈদ যাতে সুষ্ঠুভাবে পালন করা যায় এবং রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর পুলিশি বন্দোবস্ত করা হচ্ছে মহানগর জুড়ে। রবিবার থেকে রাস্তায় থাকবে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। শনিবার ঈদের আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সাফ জানান, পবিত্র নির্দেশাবলী পালন করার ক্ষেত্রে আমরা যাতে সঠিকভাবে বুঝে ও সতর্ক হয়ে বকরি ঈদের নামাজ পড়তে ও কুরবানি দিতে পারি সেবিষয়ে আমাদেরই সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া এদিন রাজ্যের মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, কুরবানি দিলেও কোনওভাবেই যেন মাঝ রাস্তায় রক্ত বা হাড়গোড় দেখতে না পাওয়া যায়। এতে অনেক মানুষের সমস্যা হতে পারে। আর এসব বিষয়গুলি মাথায় রেখে, কোনও মানুষের সমস্যা না করে নির্দিষ্ট ঘেরাটোপের মধ্যে কোরবানি করার পরামর্শ দেন তিনি। তবে এদিন সিদ্দিকুল্লা বারবার মনে করিয়ে দেন, এই মহোৎসবে যেন অন্য কোনও ধর্মাবলম্বীর মনে আঘাত না লাগে সেবিষয় মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি কোনওরকম উত্তেজনার পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেবিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়াও প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সমস্ত উৎসব সুষ্ঠুভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মসজিদের ইমাম-সহ মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষকে ঈদের অনুষ্ঠান যাতে খুশির হয় সেকারণে সবাইকে শান্তভাবে উৎসব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

ইসলাম ধর্মে বকরি ইদ বা ইদ-উল-অদার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ইদ-উল-অদার মাধ্যমে বলিদান ও উৎসর্গের গুরুত্বকে প্রকাশ করা হয়। ইসলাম ক্যালেন্ডর অনুযায়ী প্রতি বছরের শেষ মাসে বকরি ইদ পালিত হয়। এই তিথিতে হালাল পশুর কোরবানি দেওয়া হয়।

Previous articleএবার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, প্রতীক নিতে তৃণমূল ভবনে হাজির ৩ প্রার্থী
Next articleবিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে শহরে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন সেরামের