শুক্রবার রাতে তৃণমূল কর্মীকে (TMC) লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো শনির সকালেও। উত্তপ্ত বাঁশতলা, শংকরপুর , ন্যাজাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। বসিরহাটের (Basirhat) পিফা এলাকার বিক্ষোভ বাড়ছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বোমা । গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী আলতাফ মালিকে আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে গুলি করে পালাতে দেখা গিয়েছে আয়ুব গাজি নামের এক ব্যক্তিকে। এর আগে গুলি চালিয়ে খুনের ঘটনায় আয়ুব পাঁচ বছর জেল খেটেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অভিযুক্ত বিজেপি (BJP ) কর্মী বলে জানিয়েছে তৃণমূল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে বসিরহাট থানার পুলিশ (Basirhat Police)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মী আলতাফ বসিরহাট থানার পিফা এলাকার বাঁশতলার একটি দোকানে যান। আচমকাই পিছন থেকে এসে আলতাফকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। সে সময়ই আয়ুব তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ এলাকারই একটি দোকানের সামনে ফেলে পালান বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যাগে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা ছিল। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বসিরহাট থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ওই বোমা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় বিজেপির মদত আছে বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভ ডাকাতি শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের কথায় লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটে হেরে গিয়ে বিজেপি বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের টার্গেট করছে।

