‘খুনি’ আরপিএফ! রেলের হকার মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ গণমঞ্চের

নিহত হকারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে নিরপেক্ষ বিচারের মধ্যে দিয়ে অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়

কামারকুণ্ডু স্টেশনে আরপিএফের ধাক্কায় ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান রেলের হকার রাকেশ ঘোষাল। এই ঘটনায় কেন্দ্র সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করল দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। বিজেপির দ্রব্যমূল্যের জমানায় হকারি করে পরিবার চালানো এক ব্যক্তিকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনা কোনও অমানুষই ঘটনাতে পারে, দাবি গণমঞ্চের সদস্যদের। এই ঘটনার বিচার চাওয়ার পাশাপাশি হকারদের উপর রেলের অত্যাচারের প্রতিবাদ করে পাঁচ দফা দাবি পেশ করা হয়।

বুধবার, ১১ জুন কিছু আরপিএফ কর্মী কামারকুণ্ডু স্টেশনে রাকেশ ঘোষাল নামে হকারকে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দিলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের প্রশ্ন, রেল সুরক্ষার নামে যদি মানুষ খুন রেলের আইনে বৈধ হয়, তাহলে এটা কি মধ্য যুগ। রাজতন্ত্র চলছে দেশে? সেই সঙ্গে এই ঘটনা রেলের বেসরকারিকরণের দিকেই যে ইঙ্গিত করছে তাও স্পষ্ট করে দেন তাঁরা। তাঁদের যুক্তি, রেল হকারদের উপর এই অত্যাচার আসলেই রেল বেসরকারিকরণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রেল হকার উচ্ছেদ না হলে বহুজাতিক কর্পোরেটদের ক্যাটারিং সার্ভিস সহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি ভারতীয় রেলে চালু করা অসম্ভব।

নিহত হকারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে নিরপেক্ষ বিচারের মধ্যে দিয়ে অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে পরিবারকে নূন্যতম ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। দাবি জানানো হয় রেল হকারদের ওপর NDA সরকারের রেল মন্ত্রকের আরপিএফের অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। এর পাশাপাশি রেল হকারদের পুরোনো দাবিগুলিকেও তুলে ধরেন গণমঞ্চের সদস্যরা, যার মধ্যে রয়েছে, বিনা পুনর্বাসনে কোনো হকারের দোকান উচ্ছেদ করা যাবে না। রেলের হকারদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া ও রেল বেসরকারিকরণের প্রতিবাদও জানান তাঁরা।

Previous articleউইম্বলডনে এবার বাংলার দুই যুবক
Next articleপ্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই বিদেশে: G7 শীর্ষ সম্মেলনে মোদির প্রাপ্তি শুধুই ‘মেলোডি’! খোঁচা বিরোধীদের