NEET প্রশ্নফাঁস অস্বীকার শিক্ষামন্ত্রীর, তারপরেই ডবল ইঞ্জিন দুই রাজ্যে গ্রেফতার!

শুধুমাত্র ডবল ইঞ্জিনের বিহার নয়, খোদ মোদির রাজ্য গুজরাটে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ। তবে গুজরাটে দুর্নীতির পন্থা কিছু অন্য রকম ছিল

খোদ গুজরাট পুলিশ বলছে NEET পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে। ডবল ইঞ্জিন বিহার থেকেও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগেই গ্রেফতার ১৩ জন। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী দাবি করছেন NEET পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। গোটা দেশ জুড়ে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে যেভাবে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে দুর্নীতির পথে হেঁটেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, তার মুখোশ খুলে যেতেই গা বাঁচানোর চেষ্টা মোদি সরকারের। ক্ষমতায় আসার দিন থেকে দুর্নীতির ছাপ গায়ে মেখেছে তৃতীয় মোদি সরকার। তবে বিরোধীদের লাগাতার নজরদারি ও সর্বোচ্চ আদালতের বিচারের উপর ভরসা করে অপেক্ষা করছেন বিচারপ্রার্থীরা।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করেছিলেন, “NEET পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ হয়েছে এবং তদন্তের সক্ষম এরকম সংস্থা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।” সেই সঙ্গে তিনি সব অভিযোগকে ‘ঢিলেঢালা তথ্য’ হিসাবে দাবি করেন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর নির্ভর করার বার্তা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর।

তবে যেভাবে সুপ্রিম কোর্ট গোটা ঘটনায় তৎপরতার সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তাতে নড়েচড়ে বসেছে একাধিক রাজ্যের প্রশাসন। বিহারের পাটনায় শাস্ত্রিনগর থানায় ৫ জুন একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এই সংক্রান্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে শুক্রবার বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয় ১৩জনকে। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে মারাত্মক তথ্য যেখানে দেখা যাচ্ছে যে পরীক্ষার্থীদের বেআইনিভাবে পাশ করিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তাঁদের আলাদা ছাত্রাবাসে আগেরদিন তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের নির্দিষ্ট প্রশ্ন ও তার উত্তর মুখস্থ করানো হয়। এমনকি বিহার পুলিশের তদন্তকারী সংস্থার দাবি এনটিএ-র পক্ষ থেকেই তদন্তে প্রয়োজনীয় তথ্য দিচ্ছে না।

শুধুমাত্র ডবল ইঞ্জিনের বিহার নয়, খোদ মোদির রাজ্য গুজরাটে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ। তবে গুজরাটে দুর্নীতির পন্থা কিছু অন্য রকম ছিল। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য যে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা টাকা দিয়েছিলেন, তাদের না পারা উত্তর পূরণ করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন এই কোচিং সেন্টারের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। এমনকি এর জন্য ৬৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। গোটা দুর্নীতিতে গোধরা, বিভোর এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৫জন।

Previous articleছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে ফের খতম ৮ মাওবাদী, শহিদ ১ জওয়ান
Next articleএএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২ এর প্লে-অফে লাল-হলুদের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ