শিক্ষায় বিপর্যয়ের নাম আনন্দ বোস: তীব্র কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

সেই বিপর্যয়ের নাম কখনও বনোয়ারিলাল পুরোহিত, কখনও মিস্টার আরলেকর, কখনও আরিফ মহম্মদ আবার কখনও আনন্দ বোস

রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় রীতিমত বিপর্যয় নিয়ে এসেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিজেপির একাধিক রাজ্যপাল এভাবে একাধিক রাজ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একই রকম বিপর্যয় নিয়ে সুর চড়ালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু ভারতের মানুষ লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে বিজেপির সংবিধান বিরোধী পন্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাতে আনন্দ বোসের মতো বিপর্যয়-রা বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেও আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।

শনিবার থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ‘এডুকেশন ইন্টারফেস ২০২৪’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্রাত্য বসু দাবি করেন, “উচ্চশিক্ষায় বেশ কিছুদিন যাবৎ একধরনের বিপর্যয় চলছে। সেই বিপর্যয় পঞ্জাবেও সত্য, বিহারেও সত্য, কেরালাতেও সত্য। সেই বিপর্যয়ের নাম কখনও বনোয়ারিলাল পুরোহিত, কখনও মিস্টার আরলেকর, কখনও আরিফ মহম্মদ আবার কখনও আনন্দ বোস। এই বিপর্যয়রা বিভিন্ন রাজ্যে আমার ধারণা, তাঁদের চলে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে, আমাদের ক্ষেত্রে তিনবারের নির্বাচিত সরকার এবং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিপর্যয় ঘটনোর চেষ্টা করেছিল, আমার মনে হয় সেই বৃত্তের এবার একটা সমাপিকা হবে।”

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বসানো রাজ্যপালেরা যেভাবে শিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা করেছেন তার তীব্র কটাক্ষ করেন ব্রাত্য বসু। তিনি আক্রমণের সুরে বলেন, “কোনও মনোনিত লোক যারা একধরনের গৈরিকীকরণ ছড়ানোর যে ভুয়ো কৃত্রিম, হাইপার রিয়েলকে রিয়েল বলে কল্পনা করে নিয়ে যে ধরনের বিপর্যয় ঘটানোর চেষ্টা করেছিল আমার মনে হয় সেই বৃত্তের এবার একটা সমাপিকা হবে। ওঁরা ধরে নিয়েছিলেন যে এটা অসমাপিকা। ভারতবর্ষের মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, লড়াই করা মানুষ, শুধুমাত্র ধর্ম দিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন যে ভারতের সংবিধান অটুট। ভারতের যেটা মূল কথা বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য, সেই মিলনের সামগান আমরা এখন গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে শুনতে পাচ্ছি। এবং বিপর্যয়ের যে কালো কুজ্ঝটিকা সেটা অবসান হওয়ার মুখে।”

কর্মজীবনের উন্নয়ন এবং শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য আয়োজিত দেশের এই প্রথমসারির কেরিয়ার শিক্ষা মেলাতে শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ মালা রায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞ থেকে বিভিন্ন পেশার বিশেষজ্ঞদের সান্নিধ্যে পেশার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত পাওয়ার জন্য উপস্থিত হন বহু প্রথিতযশা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা। কেরিয়ার প্ল্যানার এডু ফেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা দীপক সিনহা রায় বলেন, “আমরা এডুকেশন ইন্টারফেস ২০২৪-এর আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এখানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি আলাপ-আলোচনার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এর মাধ্যমে তারা তাদের শিক্ষাগত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন।”