তদন্তের আগেই মৃত মালগাড়ির চালককে ‘অপরাধী’ বানিয়ে দিল রেল বোর্ড। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় তদন্ত শুরুর বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। উদ্ধারকাজও মাঝপথে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তারই মধ্যে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও জানালেন মালগাড়ির চালকই সিগনাল মানেননি।

রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পিছনের গাড়ির চালকের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পিছনের গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে বলেই বেশির ভাগ দুর্ঘটনায় দেখা গিয়েছে। সোমবারের কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনাতেও তদন্ত শুরুর আগেই রিপোর্ট প্রকাশ রেল বোর্ডের। সিইও জয়া ভর্মা সিনহা জানান, “মালগাড়ির যে চালক, যিনি সিগনাল না মেনে এগিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক, সহকারি চালক ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডের মৃত্যু হয়েছে। মালগাড়ি সিগনাল না মেনে পিছন থেকে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ধাক্কা মেরেছে।”
এমনকি যেখানে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ির বগি থেকে আহত ও নিহত যাত্রীদের বের করে আনার কাজ চলছে, সেখানে রেল বোর্ডের সিইও সাফ জানিয়ে দেন, “উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।”

তবে রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তাতেই শিলমোহর এদিন মেরেছেন রেলের সিইও। ঘটা করে গোটা দেশের রেলের নানা প্রকল্প উদ্বোধন করে বেড়ানো রেল দফতর যে আদৌ যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে ভাবে না তা এই ঘটনায় প্রমাণিত। রেলের সিইও জানান, “দিল্লি-গৌহাটি রুটে এখনও কবচ ব্যবস্থা লাগু হয়নি। কাঞ্চনজঙ্ঘায় সেই ব্যবস্থা ছিল না।” এত পুরোনো রুটে যাত্রী সুরক্ষার বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে এই রুটে একের পর এক বাড়ানো হচ্ছে বন্দে ভারতের মতো ট্রেন।
