আসছে রথযাত্রা, সেজে উঠছে মাহেশ। আগামী শনিবার ২২ জুন স্নানযাত্রা ঘিরে তাই সাজো সাজো রব। ঐতিহ্যবাহী এই পুজো ঘিরে এলাকার মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। এবছরেও ব্যতিক্রম হচ্ছে। জগন্নাথ দেবের ৬২৮ তম স্নানযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল ছটা কুড়ি মিনিটে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা মূল মন্দির থেকে নিয়ে আসা হবে মন্দির সংলগ্ন স্নান মন্দিরে। তিন বিগ্রহকে দেড় মন দুধ এবং ঘড়া ঘড়া গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হবে। এরপরই জগন্নাথের জ্বর আসায় তিনি একপক্ষকাল গৃহবন্দি থাকেন বলে শাস্ত্রে মানা হয়। এই সময় দর্শন বন্ধ হয়ে যায়। তবে এবার ব্যাতিক্রম। জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান যে এবারে স্নান পর্বের পর প্রভুকে রাজ বেশে সাজানো হবে এবং স্নান মন্দিরে বিরাজমান থাকবেন তিনবিগ্রহ। সেখানেই ভোগ নিবেদনের মাধ্যমে একটু অন্যরকম ভাবে স্নানযাত্রা উৎসব পালন।

আগামী ২২ জুন অপরাহ্ণে জগন্নাথকে অন্ন ভোগ দেওয়া হবে, এবং সন্ধ্যাবেলা বৈকালিক শীতলের পর বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হবে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে। এরপরই বিশ্রামপর্ব। রীতি মেনে এই সময় তার একাধারে যেমন চিকিৎসা চলবে তার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নতনভাবে রাঙিয়ে দেওয়া হবে ভেষজ রঙে। এই উৎসবকে বলা হয় নব যৌবন। এরপর আগামী ৭ জুলাই জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা মাহেশের ঐতিহাসিক রথে চড়ে রওনা দেবে মাসির বাড়ির পথে। স্নানযাত্রা নিয়ে এদিন যে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় তাতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী, মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি পুর সদস্য অসীম পণ্ডিত, অরুনাভ অধিকারী সহ অন্যান্যকর্মকর্তারা।
