লোকসভা ভোটের সিপিএমের প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠক বসেছিল আলিমুদ্দিনে। দু দিনের এই বৈঠকের আজ ছিল শেষদিন। পরাজয়কে কার্যত অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে সিপিএম। তাই সম্ভবত দু’দিনের এই রাজ্য কমিটির বৈঠকেও অদ্ভুতভাবে লোকসভা সিপিএমের বিপর্যয়ের পূর্ণাঙ্গ কোনও পর্যালোচনা হল না। জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ থেকে ২৫ অগাস্ট কল্যাণীতে রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন বসবে। সেখানেই দলীয় পর্যায়ে লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ হবে।

আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁরা জানান, জেলা কমিটিগুলি প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। ভোটে হার নিয়ে আগামিদিনে আরও পর্যালোচনার দরকার আছে। ২৯ এবং ৩০ জুন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও বাংলায় হারের প্রসঙ্গ উঠবে বলে দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আগামিদিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।


বুধবার রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে অনেক সদস্যই প্রকাশ্যে খোদ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বেশি সরব ছিলেন বর্ধমানের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অমল হালদার। কোনও কোনও জেলা আবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও প্রশ্ন তোলে। কয়েকটি জেলার নেতাদের বক্তব্য, নীচের তলার বহু কর্মী, সমর্থক কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি। এবং অতীত থেকেও শিক্ষা নেওয়া যায়নি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে লোকসভার ফলাফলে।

আবার সেলিম শিবিরের যুক্তি, রাজ্য সম্পাদক ভোটে না দাঁড়ালে দলকে মাঠে নামানোই যেত না। রাজ্য সম্পাদক নিজে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন বলে জেলায় জেলায় প্রচারে অন্তত কিছুটা সাড়া মিলেছে।


সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটির এক নেতা বৈঠকে বলেন, জেলার নিচুতলা থেকে যে রিপোর্ট এসেছিল, তার সঙ্গে বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। অনেক কমিটিই বাড়িয়ে বাড়িয়ে দলের প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু সর্বত্র বুথভিত্তিক সংগঠন এখনও যে গড়ে তোলা যায়নি, লোকসভা ভোটের ফলই তার প্রমাণ।

আরও পড়ুন- শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতার তথ্য সরকারি পোর্টালে আপলোড করার নির্দেশ হাই কোর্টের
