চাকরি মামলার নামে বিপুল টাকা তুলছেন কিছু আইনজীবী! ফের বিস্ফোরক কুণাল

ফের শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। তাঁর নিশানায় কিছু বামপন্থী আইনজীবী। যাঁরা দিনের পর দিন মোটা টাকার বিনিময়ে আদালতে শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা লড়ছেন। অসহায় চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে মামলার নামে কার্যত টাকা লুঠ করছেন। আবার আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে অন্য খেলা খেলছেন এইসব আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ বিস্ফোরক অভিযোগ করে লেখেন, “শিক্ষা সংক্রান্ত চাকরি মামলা দেখিয়ে কিছু ব্যক্তি বিপুল টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। একটি গ্রুপের পোস্টে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। এসব কথা আগেও কানে এসেছে। বহু সংখ্যক কর্মপ্রার্থীর কাছ থেকে মামলার নামে বিপুল টাকা তোলার কথাগুলি সত্য কিনা জানতে তদন্ত হোক। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা দরকার।”

এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল চাকরি প্রার্থীদের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের কথপোকথনের স্ক্রিন শর্ট দেন। সেখানে এক চাকরি প্রার্থী লিখছেন, “ফিরদৌসের (ফিরদৌস শামিম) কাছে গিয়েছিলেন, বলছে ২৫ হাজার দাও হয়ে যাবে….আমি আর কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে এলাম….!” আরেকজন লিখছেন, “ফিরদৌস আমার থেকে ৪০ (হাজার) নিয়েছিল। মনে হচ্ছে, পুরোটাই জলে গেলো!” কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে সরাসরি কোনও আইনজীবীর নাম উল্লেখ না করলেও, তাঁর দেওয়া বিভিন্ন স্ক্রিন শর্ট থেকে স্পষ্ট তৃণমূল নেতার নিশানায় আসলে কোন কোন বামপন্থী আইনজীবী।

তবে এই প্রথম নয়, হাইকোর্টের বেশকিছু বামপন্থী আইনজীবী টাকার বিনিময়ে আসলে চাকরি প্রার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, সেই অভিযোগ আগেও করেছিলেন কুণাল। এর আগে তাঁর অভিযোগ ছিল, সিপিআই, বিজেপি এবং কংগ্রেস এসএসসি নিয়োগ ইস্যুতে রাজনীতি করছে। এর আগে একবার সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল দাবি করেছিলেন, “বাম কংগ্রেস ও বিজেপি মুখে বলছে যোগ্যদের চাকরি চাই। আবার রাজ্য সরকার যখন সংশোধন করে যোগ্যতার চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করছে তখন ওদের উকিলরা গোটা প্যানেল বাতিলে মরিয়া। দ্বিচারিতা মানুষ ধরে ফেলেছেন। এরা সব লন্ডভন্ড করে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা চান। এদের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলছে। আমরা মনে করি যোগ্যতার অবশ্যই চাকরি পাওয়া উচিত। কিন্তু সিপিএম কংগ্রেস বিজেপির উকিলরা আদালতে গিয়ে গোটা প্যানেল বাতিলের দাবি তোলে।”

কুণালের আরও অভিযোগ, আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে এই চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে আইনজীবীদের একাংশ চাকরিপ্রার্থীদের ‘ভুয়ো সমবেদনা’ দেখিয়ে চাকরি আটকানোর জন্য আদালতে ছুটছেন। এক শ্রেণির আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করছেন। মিথ্যে সমবেদনার নাম করে এদের মামলা লড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, অন্যদিকে বিরুদ্ধে পক্ষের হয়ে মামলা লড়ছেন।

কুণাল আরও বলেছিলেন, ‘রাজনীতি করার জন্য উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিকাশ ভট্টাচার্য ও তাঁর সঙ্গী আইনজীবীরা মামলা লড়ার জন্য এই যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ২৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। এই তিনি গরিবের নেতা! এখন অযোগ্যপ্রার্থীদের দিয়ে মামলা করিয়ে যোগ্যদের চাকরি আটকে রেখেছেন। ওঁরা আমাকে অনুরোধ করেছেন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ তোলার জন্য রাজ্য সরকার যেন ব্যবস্থা করেন। আমি সংশ্লিষ্ট জায়গায় বিষয়টি পৌঁছে দেব। বিকাশবাবু দয়া করে এদের রাজনীতির জন্য ব্যবহার করবেন না।’