RJD-র দিকে ছোড়া তির ফিরল নিজেদের দিকেই! NEET নিশানায় নীতীশের JDU

একটি ছবি প্রকাশ করা হয় যেখানে দেখা যায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরি সংবর্ধনা নিচ্ছেন আরেক অভিযুক্ত অমিত আনন্দের থেকে

ক্রমশ জটিল চেহারা নিচ্ছে চিকিৎসক প্রবেশিকা পরীক্ষার দুর্নীতির তদন্ত। ঠিক কোন প্রভাবশালী যোগে দেশে এনডিএ জমানায় এই দুর্নীতির বীজ বপন করা হয়েছিল তা নিয়ে শুরু দড়ি টানাটানি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সব ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়া শুরু হতেই বিরোধীদের দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেছিল এনডিএ জোট সদস্য জেডিএই। তবে পাল্টা আরজেডি ছবি প্রকাশ করে এই মামলায় জেডিইউ-এর যোগ প্রমাণ করে দেয়।

NEET দুর্নীতিতে হঠাৎই তলব করা হয় আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদবের আপ্ত সহায়ককে। দাবি করা হয়, অভিযুক্ত সিকন্দর প্রসাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তেজস্বীর আপ্ত সহায়ক প্রীতম কুমারের। পরীক্ষার আগের রাতে সিকন্দরের পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পরে আরজেডি দাবি করে তাঁদের কালিমালিপ্ত করার জন্য এই প্রচার চালানো হয়। সেই সঙ্গে এই দুর্নীতিতে যুক্ত বড় মাথাদের বাঁচানোর জন্য বিপক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অভিযোগও করা হয়।

এরপরই আরজেডির পক্ষ থেকে একটি ছবি প্রকাশ করা হয় যেখানে দেখা যায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরি সংবর্ধনা নিচ্ছেন আরেক অভিযুক্ত অমিত আনন্দের থেকে। আরজেডির দাবি, এই ভিডিওটি সম্রাট চৌধুরি তড়িঘড়ি মুছে ফেলেন। কিন্তু তার আগেই সেই প্রমাণ রয়ে গিয়েছে আরজেডির কাছে। আর এই ছবি প্রকাশের পরেই তেজস্বী যাদব জোর দিয়ে দাবি করেন, প্রয়োজনে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তাঁর আপ্তসহায়ককে। জেডিইউ-এর বড়া মাথারা যে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাতে কোনও সন্দেহ নেই, এই ছবি দিয়ে প্রমাণ করতে মরিয়া আরজেডি।

Previous articleশনিবার বেলা ১২টা থেকে হাওড়া পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে টানা ১৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে জল সরবরাহ
Next articleভূয়সী প্রশংসা! মমতার কবিতা পড়ে মুগ্ধ সুব্রমনিয়ন স্বামী