তৃণমূলের প্রতি ঘৃণার রাজনীতিই ডুবিয়েছে! মীনাক্ষি-সৃজনদের নিয়ে বিস্ফোরক অনুরাধা

জয়িতা মৌলিক

তরুণ প্রজন্মকে সামনে এনে লোকসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল সিপিআইএম কিন্তু তাও শূন্যের খরা কাটেনি। শনিবাসরীয় বিকেলে PDS-এর সাধারণ সম্পাদক অনুরাধা পুততুণ্ডকে (Anuradha Puttinda) এই কথা বলতেই প্রতিবাদ করে উঠলেন। প্রশ্ন তুললেন, তরুণ কারা? যাঁদের বয়স কম? শুধু বয়সে নবীন হলেই তারুণ্যে ভরপুর বলা যায় না। PDS নেত্রীর কথায়, নতুন প্রজন্ম মাথাতেও যদি পুরনো ধ্যানধারনা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে আর তাঁর সেই স্বাধীনতা থাকে কি? তার চেয়ে বয়সে প্রবীণ হয়েও কারও চিন্তাভাবনা যদি বাস্তবসম্মত, তারুণ্যে ভরপুর হয়- তাহলে তাঁকেই তরুণ বলা যায়। এক্ষেত্রে সিপিআইএমের নতুন প্রজন্মের মীনাক্ষি-সৃজন-সায়ন-দীপ্সিতাদের সেই পুরনো মতকেই চর্বিতচর্বণ করতে দেখা গিয়েছে। আর এই ভুলনীতিই ডুবিয়েছে বামেদের- স্পষ্ট জানালেন অনুরাধা পুততুণ্ড। তাঁর কথায়, তৃণমূলকে ঘৃণার রাজনীতির মাসুল গুণতে হচ্ছে বামেদের। ভোটে শূন্য হয়ে এখন কিছুটা জ্ঞানচক্ষু খুলেছে- কটাক্ষ PDS-এর সাধারণ সম্পাদকের।

অনুরাধার কথায়, বাংলায় বামেদের বলা ভালো বড় শরিক সিপিআইএমের নীতিই ভুল। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তারা বিজেপিকে নিশানা করছে। কিন্তু বাংলায় তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘৃণা উগরে দিচ্ছে। এক আসনে বসিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলকে। এই নীতি বাংলার মানুষ কোনভাবেই মেনে নেননি। PDS নেত্রীর মতে, বিজেপি ভারতীয় দলই নয়। তাদের নীতি আদর্শ ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে কোনোভাবেই মেলে না। তারা চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক শক্তি। তাদেরকে হটানোর জন্য সব অবিজেপি দলগুলি জোট বাধা উচিত। দেশে সেটা হয়েছে বলেই ভালো ফল করেছে INDIA। শুধু বামেদের মূলনীতির জন্য তারা ডুবেছে কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গে।

CPIM-এর ‘ব্র্যান্ড মীনাক্ষি’ কাজ করল না কেন? অনুরাধা বলেন, “এখন যারা সিপিএমের তরুণ মুখ তাদের অনেককেই আমি ছোট থেকে দেখেছি। তাদের স্নেহ করি। কিন্তু মিডিয়ার একাংশ যেভাবে মীনাক্ষিকে হাওয়া দিয়েছিল সেটা কোনভাবেই কাজ করেনি। আমি নিজে ওর বক্তব্য শুনেছি। আমার মনে তেমন দাগ কাটেনি। কারণ পুরনো কথাই বলেছে সে। নতুন প্রজন্মের মুখে মানুষ নতুন কথা আশা করে। না হলে তরুন প্রজন্মকে সামনে এনেও লাভ হবে না।”

তাহলে যে সিপিআইএম ধুঁয়ো তুলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই জিতেছে তৃণমূল! তীব্র প্রতিবাদ করেন অনুরাধা। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাজ মানুষের সার্বিক উন্নয়ন এবং জীবনযাপনের মান উন্নয়নে প্রকল্প তৈরিঌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই করেছেন। লক্ষীর ভাণ্ডারের ফলে বাংলার মেয়েদের হাতে অর্থ এসেছে। তাঁদের কারও কাছে হাত পাততে হচ্ছে না। এটা তো একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাজ। তিনি সেটাই করেছেন। বাম আমলে বেকার ভাতা চালু হয়েছিল। তারপরে সেটা চালানো হয়নি। সেই সময় তো কেউ সেটাকে ভোটের রাজনীতি বলেনি।

তাহলে কি সিপিএমের আর বঙ্গে কোনও আশা নেই? বিস্ফোরক পিডিএস-এর সাধারণ সম্পাদক। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, না, এই নীতি নিয়ে চললে বাংলায় কোনভাবেই আর ফিরতে পারবে না CPIM।