সন্দেহজনক গতিবিধি! স্টেশন থেকে ২ যাত্রীকে গ্রেফতার, ব্রিফকেস খুলতেই চোখ কপালে GRP-র

ট্রেন (Train) ও স্টেশনে ঘুমন্ত যাত্রীদের টার্গেট করেই চলত হাতসাফাই। এভাবেই একের পর এক যাত্রীর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তা গ্রামে গিয়ে কম দামে বিক্রি করে বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু কে জানত তাঁদের এই কারসাজির একদিন পর্দাফাঁস হবে? এমনই ঘটনা ঘটল লখনৌতে। ব্যস্ত প্ল্যাটফর্ম। তখন ট্রেনের অপেক্ষায় উপচে পড়া ভিড়। সেসব উপেক্ষা করেই প্ল্যাটফর্মের (Platform) উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দু’জন। তবে পোশাক খারাপ হলেও হাতে দামি ব্রিফকেস। আর ব্রিফকেসই জীবনে কাল হল। শেষমেশ জিআরপি (GRP)-র হাতে ধরা পড়ে শ্রীঘরে দুই চোর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

ধৃতদের নাম অশোক নোনিয়া এবং বিজয়। দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার বাসিন্দা বলে খবর। চুরি করার জন্য তারা লখনউ, কানপুর ও গোরখপুর ট্রেনেই বেশি হাতসাফাই করত বলে অভিযোগ। আর সেই চোরাই মোবাইল ফোন গ্রামে গিয়ে সস্তায় বিক্রি করত। বাজারের তুলনায় দাম কম হওয়ায় তা কিনেও নিত সাধারণ মানুষ। কিন্তু এদিন সেই প্রচেষ্টাই বানচাল হয়ে গেল। সূত্রের খবর, এদিন প্ল্যাটফর্ম দিয়ে হনহন করে এগিয়ে যেতে দেখে এবং দুজনের হাতে দামি ব্রিফকেস দেখে সন্দেহ হয় জিআরপি-র। এরপরই তাঁদের আটকানো হয়। তবে জিআরপি-র কথা প্রথমে কানে না তুলে এগিয়ে যেতেই সন্দেহ আরও গভীর হয়। সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি কর্মীরা দুজনের পথ আটকে দাঁড়ায়। পরে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর চোখ কপালে ওঠে জিআরপিএফ কর্মীদের। দুই অভিযুক্তকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

 

এদিন একের পর এক প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুলুপ এঁটেই ছিল দুই অভিযুক্ত। একাধিক প্রশ্ন করে উত্তর না মেলায় মনে সন্দেহ দানা বাঁধতেই দুজনকে ব্রিফকেস খুলতে বলে জিআরপি। আর সেখানেই কেল্লাফতে। অভিযুক্তরা কোনওমতেই ব্রিফকেস খুলতে না চাইলে আরও গভীর হয় সন্দেহ। যদিও তারা কখনও জানায় এই ব্যাগ তাঁদের নয়, পাশাপাশি বলে শোনা যায় ব্রিফকেসের চাবি হারিয়ে ফেলেছেন তারা। সেকারণে খোলা সম্ভব নয় ব্যাগ। কিন্তু পরে জিআরপির লাগাতার চাপের মুখে পড়ে বন্ধ ব্রিফকেস খুলতে বাধ্য হন দুজনেই। আর সেই ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে জিআরপির। দেখা যাচ্ছে দামি দামি কোম্পানির কমপক্ষে ৪২ মোবাইল সাজানো রয়েছে সেই ব্রিফকেসে।

পরে ধৃতদের জেরা করে জিআরপি জানতে পারে তাদের কর্মকাণ্ডের কথা। এরপরই সাঁড়াশি চাপে ফেলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারপরই দুই চোরকে গ্রেফতার করে লখনউ জিআরপি। তবে এদিন লখনউ রেলওয়ে পুলিশ সুপার জানান, ট্রেন ও স্টেশনে লাগাতার অপরাধমূলক ঘটনা রুখতে জোরকদমে প্রচার চালানো হচ্ছিল। আচমকাই চোখে পড়ে দুই সন্দেহভাজনকে। পরে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে সমস্ত অপরাধের পর্দাফাঁস।

 

 

Previous articleবাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে কী বললেন ভারত অধিনায়ক ?
Next article‘আমি ভাগ্যবান যে দেশের হয়ে খেলতে পারছি’, ম্যাচের সেরা হয়ে বললেন হার্দিক