সিনেমা (Cinema) এমন এক শিল্প যা সাধারণ মানুষের স্বপ্নকে সত্যি করে তাঁকে শিল্পী তৈরি করে তুলতে পারে। শুধু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়াই একমাত্র লক্ষ্য নয়, শতবর্ষ প্রাচীন জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (George Telegraph Training Institute) শিক্ষার্থীদের শেখায় সৃজনশীলতার স্বপ্ন দেখতে। তাই কারিগরি শিক্ষার আলোয় তাঁরা পর্দায় গল্প বলেন। সোমবার (২৪ জুন ২০২৪) সন্ধ্যায় জর্জ টেলিগ্রাফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (George Telegraph Film and Television Institute) উদ্যোগে কলকাতার রোটারি সদনে (Rotari Sadan) দুটি সিনেমার বিশেষ স্ক্রিনিং প্রদর্শিত হল। প্রথম ছবি ইনস্টিটিউট ‘দ্য পারফেক্ট মার্ডার’, ভাবনা ও পরিচালনায় ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা। এখানে সব থেকে বড় চমক দিলেন সাহিত্যিক জয় গোস্বামী (Joy Goswami)। ৫০ বছর ধরে লেখালেখি করার পর অবসর নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সিনেমায় এত দক্ষতার সঙ্গে ক্যারেক্টার আর্টিস্টের অভিনয় করতে পারেন, সেটা বোধহয় এতদিন অজানাই ছিল। জর্জ টেলিগ্রাফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল গোরা দত্ত বললেন, কবির এই সাবলীল সহযোগিতায় সিনে শিক্ষার্থীরা সত্যিই ঋদ্ধ হয়েছেন।

এদিনের অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল জয়দীপ রাউত পরিচালিত প্রেম – অপ্রেমের গল্প ‘মূর্তি’। পরিচালক নিজেই জর্জ টেলিগ্রাফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে আছেন। তাঁর সিনেমায় গতে বাঁধা জীবনের চেনা ছবির বাইরে এমন কিছু মুহূর্ত আর অনুভূতি ধরা দিয়েছে যা সম্পর্কের রূপরেখা বদলে দিতে পারে। এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগের শুরুতেই জয় গোস্বামী এবং সুব্রত সেন সিনেমার খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। নির্বাক থেকে সবাক হওয়া চলচ্চিত্রের টেকনিক্যাল অগ্রগতির কথা উঠে আসে।১৮ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ডের সিনেমার সময়কাল থেকে পঁচিশ ফ্রেমে আজকের কাহিনী বা ধ্বনি প্রতিধ্বনি থেকে আজকের ডলবি সাউন্ডের পর্যায়ক্রমে দারুণ ভাবে তুলে ধরেন সুব্রত।


অনুষ্ঠানে জর্জ টেলিগ্রাফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের তরফে সুরকার অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Arup Banerjee) লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেওয়া হল। অডিও বার্তায় শুভেচ্ছা পাঠান কুমার শানু। মঞ্চে উপস্থিত হন পন্ডিত সুগত ভাদুড়ি, গৌরব দত্ত, গোরা দত্ত সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।
