প্রশাসনিক বৈঠকে হকার নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, কোনও ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন?

জায়গায়-জায়গায় বহুতল। একজনের ঘাড়ের উপর দিয়েই আর একজন উঠেছে। আর ফুটপাতের দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখান দিয়ে হাঁটাচলার জায়গা নেই। কারণ এক হাত অন্তর গজিয়ে উঠেছে চায়ের দোকান। কোথাও আবার ফাস্ট-ফুড। সল্টলেক-রাজারহাটের অফিসপাড়ার চিত্র এমনটাই। আর এই নিয়েই সোমবার পুরসভা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই বললেন, সল্টলেক দেখলে আমার লজ্জা হয়…। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী এই ধমকের পর কোনও ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন? উঠিয়ে দেওয়া হবে রাস্তার ধারের চায়ের দোকান থেকে খাবারের দোকানগুলি? সল্টলেক সেক্টর ফাইভে যদিও এদিনই ফুটপাতের দোকান সরানোর জন্য সময় বেধে দিয়েছে পুলিশ।

মূলত, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, রাজারহাটে গেলেই এই ধরনের দোকানগুলি দেখা যায়। যেখানে রাস্তার ফুটপাত দখল করে কালো ত্রিপল আর বেঞ্চ নিয়ে বসে দোকান চালান দোকানদাররা। এমনকী নলবনের উল্টোদিকে গেলে দেখা যাবে ফুটপাতের ধারে থাকা লোহার রেলিং কেটে স্থায়ী একটি দোকান বানানো হয়েছে। সেই দোকানের মালিক বলেন, আমি ২০ বছর ধরে ব্যবসা করি। এখানে চায়ের দোকান ও ভাতের হোটেল আছে। পুলিশ প্রশাসন কেউ এসে কোনওদিন উঠিয়েও দেয়নি। এখন যে যার মতো বসে পড়ে।

আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ওয়েবল আমি নিজে চোখে দেখে এসেছি। কারোও কথা না শুনে। একটু শিফট করাতে হবে। ওইখানে অনেকে আসেন। ফুটপাতে কালো-কালো ত্রিপল দিয়ে ঘেরা। একটু দূরে গিয়ে খাবার খাবেন। ফুড জোন করে দেওয়া হোক।মন্ত্রী-সহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন করেন, “হাতিবাগানে কখনও তাকিয়ে দেখিয়েছেন? কী অবস্থা ওখানে। গড়িয়াহাটে হকার বসিয়েছেন। সরাসরি মন্ত্রী সুজিত বসুর নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজারহাটে সুজিত লোক বসাচ্ছে কম্পিটিশন করে।কেন বাইরের লোক বসবেন এখানে? একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছে, এক জন করে বসে পড়ছে।তীক্ষ্ণ স্বরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘হোয়াই? হোয়াই? হোয়াই?’’

আরও পড়ুন- বিশ্বকাপের মাঝে ঘোষণা জিম্বাবোয়ে বিরুদ্ধে ভারতীয় দল, টিম ইন্ডিয়ার নেতা শুভমন