বিধানসভার স্পিকারের কাছেই শপথ নিতে চান, রাজ্যপালকে চিঠি সায়ন্তিকার

লোকসভার সঙ্গেই রাজ্যের দুই কেন্দ্রে বিধানসভা কেন্দ্র বরানগর ও ভগবানগোলায় উপনির্বাচন হয়েছে। দুটি আসনেই জিতেছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। কিন্তু ফলাফল বের হওয়ার পর তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও শপথ নিতে পারেননি নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক। যা নিয়ে নতুন করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত শুরু হয়েছে। রাজ্যপালের সবুজ সঙ্কেত না মেলায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) সহ দুই বিধায়কের শপথ আটকে আছে। ফলে উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এরই মধ্যে বরানগরের নতুন নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sayantika Banerjee) আগামী ২৬ জুন রাজভবনে ডেকেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যদিও ভগবানগোলার রেয়াত হোসেন সরকার এখনও পর্যন্ত রাজভবনের তরফে কোনও আমন্ত্রণ পাননি। আর আমন্ত্রণ পেলেও সরাসরি বিধায়কদের রাজভবনে না যাওয়ার অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল।

এদিকে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পাল্টা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে ‘সাংবিধানিক নিয়ম’ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই আগামী ২৬ তারিখ রাজভবনে সায়ন্তিকাকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। সায়ন্তিকা অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি রাজভবনে যাবেন না। তাঁর কথায়, “উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে শপথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। কিন্তু তা না করে, বিধানসভাকে কিছু না জানিয়ে সরাসরি আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে ভগবানগোলার বিধায়ককে কোনও চিঠি পাঠানো হয়নি বলেই শুনেছি। সেখানে আমি একা কেন যাব? আমি যাব না।”

বিধানসভার স্পিকারের কাছে শপথ নিতে চান, এই মর্মে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছেন বরানগর সায়ন্তিকা। চিঠিতে উল্লেখ, ‘শপথ দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে রাজ্যপাল বিধানসভায় আসুন’। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন বিধানসভায় এসেছিলেন তিনি। বিধানসভায় এসে তিনি যান স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সেখানেই তাঁর শপথগ্রহণ ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতা প্রসঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা করেন স্পিকার বিমানের সঙ্গে। এর পরেই সংবাদমাধ্যমে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জানান সায়ন্তিকা। তাঁর চিঠি পাঠানোর কারণ প্রসঙ্গে বরাহনগরের বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি জয়ী হওয়ার পর দু’সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। আমার হাতে মাত্র দেড় বছর সময় রয়েছে বরাহনগরের মানুষের জন্য কাজ করে দেখানোর। অথচ, এখনও শপথ নিতে না পারায় বিধায়ক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়েই আমি রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বিধানসভার সদস্য, এখান থেকেই আমাকে কাজ করতে হবে। তাই আমি চাই স্পিকার আমাকে শপথগ্রহণ করান। তাই আমি রাজ্যপালকে চিঠি লিখে সেই বিষয়ে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছি।’’

আরও পড়ুন: মানুষ উন্নয়ন না পেলে পুরসভা-পঞ্চায়েত রাখার দরকার কী! তীব্র ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর