৩৫ বছর পর সিঙ্গুরে সমবায় নির্বাচনে সিপিএমকে শূন্য করল তৃণমূল

২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক একটু একটু করে রক্তক্ষরণ হতে হতে বামেরা এখন শূন্য। লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা হোক কিংবা পঞ্চায়েত, শূন্য-তেই আটকে আছে বামেরা। কার্যত অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়া সিপিএম ও বাম শরিকদের বাংলার বুকে শোচনীয়। একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হলেও হুগলির সিঙ্গুরের এক সমবায় সমিতি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল বামেরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি আন্দোলনের আঁতুড় ঘর সেই সিঙ্গুরের (Singur) শিবরাত্রির সলতের মতো জ্বলতে থাকা ওই সমবায় সমিতিও শেষপর্যন্ত হাতছাড়া হল বামেদের। সেই সমবায় সমিতি এবার দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সবুজ আবির উড়ল সমিতি চত্বরে।

সিঙ্গুরের (Singur) গোবিন্দপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড দখলে গেল তৃণমূলের। রাজ্যের তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়ের পর সমবায় নির্বাচনেও জয়লাভ করল শাসক দল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর বিধানসভা থেকে ১৮ হাজারের বেশি ভোটে লিড পায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার সিঙ্গুর বিধানসভার নসীবপুর অঞ্চলের গোবিন্দপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ৪৫-০ আসনে জয়ী। এবারে ৪৫ টি আসনের বামফ্রন্ট সমর্থিতদের পাশাপাশি তৃণমূল সমর্থিত প্রতিনিধিরাও নির্বাচনে লড়াই করেছেন। বিজেপি সমর্থিত ১২ জন প্রতিনিধি নির্বাচনে লড়াই করেছেন। গত ৩৫ বৎসর এই সমবায় সিপিএম পরিচালিত বোর্ড ছিল। এবার তাদের হাত থেকে সেই বোর্ড ছিনিয়ে নিল রাজ্যের শাসক দল।

সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “সিঙ্গুরের গোবিন্দপুর সমবায় সমিতির আজ নির্বাচনে ৪৫-০ এ আমরা জয়লাভ করেছি। এখানে সিপিএম এবং বিজেপি রামধনু জোট তৈরি করে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তাদের দুজনের জোটেও তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে পারেনি। ৩৫ বছর পর সিপিএম এবং বিজেপির থেকে এই বোর্ড আমরা ছিনিয়ে নিলাম।দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, জনগণ সঠিক বিচার করেই আজ তৃণমূলের হাতে এই বোর্ড তুলে দিল।”

 

Previous articleসুইৎজারল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র জার্মানির
Next articleগায়ের জোরে সংসদীয় রীতি ভঙ্গ! প্রোটেম স্পিকার হিসেবে ভর্তৃহরি শপথগ্রহণ করতেই বিক্ষোভ বিরোধী জোটের