পঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকায় সশস্ত্র জঙ্গিদের দেখতে পাওয়ার দাবি গ্রামবাসীদের। আর তারপরেই পাঠানকোট, গুরুদাসপুর এলাকা জুড়ে জোর তল্লাশি শুরু পঞ্জাব পুলিশের। সেই সঙ্গে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ২০১৫ বা ২০১৬-র পুণরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্যই বুধবার সকাল থেকে তৎপরতা শুরু পঞ্জাব জুড়ে।

পাঠানকোট জেলার কোট ভাট্টিয়ান গ্রামে এক বাসিন্দা মঙ্গলবার রাতে দাবি করেন তিনি দুজন সশস্ত্র মানুষকে দেখেছেন। তারপরেই পাঠানকোট ও গুরুদাসপুর জেলা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। অমৃতসর সীমান্ত রেঞ্জের ডিআইজি রাকেশ কৌশলের দাবি, “হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। বামিয়াল এলাকায় পঞ্জাব পুলিশ, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় সেনার যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।”
২০১৬ সালে পাঠানকোটের এয়ারবেসে অতর্কিতে হানা দিয়ে ভারতীয় সেনার নিরাপত্তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল জঙ্গিরা। আবার গুরুদাসপুরের নামও ২০১৫ সালের দিনানগরের সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য কুখ্যাত হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই ভারতীয় সেনা, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল। মঙ্গলবার সশস্ত্র সন্দেহভাজনদের কথা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর পুলিশ ও ভারতীয় সেনা। এলাকার গ্রামগুলি ছাড়াও রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডগুলিতে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি।
