স্পিকার নির্বাচনে (Speaker Election) তাঁদের প্রার্থীর জন্য তৃণমূলের সমর্থন প্রয়োজন। আর সেকারণেই একইদিনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ফোন করলেন বিজেপি নেতা তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তবে শুধু মমতাই নন সূত্রের খবর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন রাহুল। সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে এখনও বিজেপি চেষ্টা চালাচ্ছে ডিভিশন এড়িয়ে ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে স্পিকার নির্বাচন করতে।

তবে স্পিকার নির্বাচনে কে সুরশকেই সমর্থনের পক্ষে সওয়াল তৃণমূলের। বুধবারই সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এদিকে স্পিকার নির্বাচন নিয়ে বাড়ছে জলঘোলা। স্পিকার পদে এবার প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবির। তবে তাদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শরিকরাই। তাদের আবার শান্ত করতে কংগ্রেস ব্যাখ্যা দিয়েছে যে ডেপুটি স্পিকারের পদ চাইলেও, তা দিতে রাজি হয়নি এনডিএ। সেই কারণেই স্পিকার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এদিকে, স্পিকার নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি সোমবার রাতেই মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

বুধবার সকাল ১১টায় লোকসভার স্পিকার নির্বাচনে ভোটাভুটি শুরু হবে। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের দিকই তাকিয়ে শাসক-বিরোধী জোট। স্পিকার পদে ওম বিড়লা নাকি কে সুরেশ-কাকে সমর্থন করবে তৃণমূল, তা নিয়ে এখনও কোনও পাকাপাকিভাবে উত্তর মেলেনি। তবে অভিযোগ, একতরফাভাবে স্পিকার পদে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। শরিকদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি। এই নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে বৈঠকেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন শরিকরা। তাঁদের মতে, আরও আগে সমন্বয় বৈঠক ডাকার প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব নিয়েও চটেছেন শরিকরা। এক্ষেত্রেও তাদের মতামত গ্রহণ না করেই প্রোটেম স্পিকারের কাছে রাহুলের নাম পাঠান সোনিয়া গান্ধী, এমনটাই অভিযোগ।

বুধবার লোকসভায় স্পিকার নির্বাচন। ইন্ডিয়ার স্পিকার পদপ্রার্থী কংগ্রেসের কে সুরেশ। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই সুরেশের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়েই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। তৃণমূলের নেতৃত্বের ক্ষোভের কথা জানার পরেই লোকসভায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে পাশে বসিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলতে দেখা যায় রাহুলকে। সূত্রের খবর, স্পিকার পদের প্রার্থীর নাম নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা না করার জন্য অভিষেকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন সোনিয়া-পুত্র। এরপরই সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ শেষে লোকসভা থেকে বেরিয়ে মমতাকে ফোন করেন তিনি। রাহুল তৃণমূল নেত্রীকে বোঝান, কোন পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি কেন সুরেশের নাম ঘোষণা করতে হয়েছে।
