আফগানিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়ে ফাইনালে প্রোটিয়া বাহিনী

নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো হেভিওয়েটদের ছিটকে দিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট ছিনিয়ে নিয়েছিল আফগানিস্তান৷ কিন্তু সেমিফাইনালে চোকার্স তকমা থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লড়াইতে তারা একেবারে খাপই খুলতে পারল না৷ প্রোটিয়া ব্রিগেডকে ফাইনালের টিকিটের জন্য করতে হত মাত্র ৫৭ রান, আর সেই লক্ষ্যে একেবারে শান্তভাবে পৌঁছে গেল আইডেন মার্করমের ছেলেরা৷

টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা স্পিনারদের বিরুদ্ধে খুব স্বচ্ছন্দ নন। আফগানিস্তান প্রথমে বল করে অল্প রানে প্রোটিয়াদের আটকে দিলে, নিজেদের সামনে একটা রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামতে পারতেন। কিন্তু রশিদের পরিকল্পনা ছিল অন্য। তিনি দলের বোলিংকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন পরে। রশিদ জানেন তাঁর দলের শক্তি বোলিং। তাই পরে বল করলে ম্যাচ জেতার সুযোগ বেশি থাকবে বলে মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু আফগানিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয় যে এ ভাবে হবে তা ভাবা যায়নি। কোনও ব্যাটার ক্রিজে থিতু হতে পারলেন না। ত্রিনিদাদের পিচে সুইং ছিল। সেটাই কাজে লাগালেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারেরা। তাঁদের সেই সুইংয়ের দাপট সামলাতে পারলেন না রহমানুল্লা গুরবাজরা।এদিন শুরুতেই  মাত্র ৫ রানে কুইন্টন ডি কক প্যাভিলিয়নে ফিরে যান৷ কিন্তু প্রাথমিক সেই ধাক্কাকে খুব বেশি কাজে লাগাতে পারেননি রশিদ খানরা৷মাত্র ৯ ওভারের মধ্যেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা৷ ২৫ বলে হেনডিরক্স  ২৯ রান এবং ২১ বলে ২৩ করেন মার্করম৷ এর সুবাদেই ইতিহাস তৈরি দক্ষিণ আফ্রিকার৷ প্রথমবার তারা পৌঁছে গেল কোনও ফাইনালে৷
প্রবল বাউন্সি পিচে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিংয়ের বিরুদ্ধে কুঁকড়ে যান আফগান ব্যাটারর৷ দলে একমাত্র আজমাল্লুহা ওমরাজাই দুই অঙ্কের রান ১০ এ পৌঁছন৷অন্যদিনের সফল ব্যাটার গুরবাজ এদিন ০ রানেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন৷ অন্যদিকে গুলাবদিনেরও রান মাত্র ৯৷ ফলে মাত্র ৫৬ রানেই প্যাকআপ হয়ে যায়৷

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সফলতম বোলার মার্কো জেনসেন এবং তাবরিজ শামসি৷ দুই বোলারই ৩ টি করে উইকেট নেন৷এছাড়া রাবাদা ও নর্ৎজে ২ টি করে উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে ছিটকে দেওয়া আফগানিস্তানকে জাস্ট বোতলবন্দি করে ফেলেন৷

 

Previous articleগুরুতর অসুস্থ লালকৃষ্ণ আদবাণী! ভর্তি করা হল হাসপাতালে
Next articleদখলমুক্তি নিয়ে বিরোধীদের মিথ্যাচারের জবাব প্রশাসনের