দখলদারি বরদাস্ত নয়। তবে, এখনই উচ্ছেদ হচ্ছে না। একমাসের মধ্যে জবরদখল ছেড়ে দিতে হবে হকারদের। একই সঙ্গে হকারদের থেকে কোনও চাঁদা নিতে পারবেন না কেউ। বৃহস্পতিবার, নবান্ন সভাঘরে পুরসভার মেয়র, মেয়র পারিষদ, মন্ত্রী, উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক ও হকারদের সঙ্গে বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পর্যলোচনা দল গড়ে দিলেন তিনি।
শিলিগুড়ির (Siliguri) বুধবারের ঘটনার প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডাবগ্রামে দেখেছেন তো আমি জেলা প্রেসিডেন্টকে অ্যারেস্ট করিয়ে দিয়েছি। সরকারি জমি ৩ লক্ষ টাকা করে বিক্রি করে দিচ্ছিল। ওই জমিগুলো মিউটেশন যাবে না”।
হাতিবাগান, নিউমার্কেট-সহ বেশ কয়েকটি জায়গার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য দল গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দলে রয়েছেন, ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার, অরূপ বিশ্বাস-সহ কয়েকজন। সেই দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে। একই সঙ্গে মমতা নির্দেশ দেন, একটি পোর্টাল তৈরি করে কোথায় হকাররা বসতে পারবেন, কোথায় হকাররা বসতে পারবেন না, সেটার তালিকা তৈরি করতে হবে। কোথাও কোনও খালি বা নির্মীয়মাণ ভবন থাকলে সেখানও হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
সব শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”হকারদের আমি ভালবাসি কেন জানেন? তার কারণ, রাস্তায় একটা দুর্ঘটনা ঘটলে আর সবাই মুখ ফিরিয়ে চলে গেলেও হকারেরা ছুটে আসেন। ওঁরা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কোনও মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার হলে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু আমি যেটা করছি, সেটা ওঁদের বিরুদ্ধে নয়। কলকাতাকে সুন্দর করতে হবে। আপনারা সহযোগিতা করুন, সরকার আপনাদের সঙ্গে থাকবেন।”