মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘স্টার্ট আপ’ মডেল! প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতেই ‘বেকারত্ব’ সঙ্কটে জেরবার মোদি

ট্রেন্ড স্পষ্ট হয়েছিল আগেই, এবার তা সত্যি হল। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) শপথ নিতেই তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে বড়সড় ধসের আশঙ্কা! অর্থাৎ ক্ষমতায় আসতেই একলাফে রেকর্ড বাড়ল বেকারত্ব (Unemployment ) সমস্যা। সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানি (NASCOM) একটি সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে এনেছে। সেই রিপোর্টে দেখেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় দেশবাসীর। কোভিড পরবর্তী সময় থেকেই ধুঁকতে শুরু করে তথ্য প্রযুক্তি (IT) সেক্টর। চাকরি থেকে আচমকা বরখাস্ত করা থেকে শুরু করে বিনা কারণে বেতন কাটা-সহ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে বেকার যুবকদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিথ্যাচার করেছে মোদি সরকার। আর ভোট মিটতে বেকারত্ব সমস্যা মেটানো তো দূরস্ত এবার তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরে তলানিতে ঠেকেছে।

ন্যাসকমের রিপোর্ট বলছে, গত অর্থবর্ষের তুলনায় রীতিমতো ধস নামতে চলেছে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে নিয়োগের ক্ষেত্রে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে যেখানে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ২ লক্ষ ৭০ হাজার চাকরি হয়েছিল, সেখানে চলতি অর্থবর্ষে নেমে আসতে পারে মাত্র ৬০ হাজারে। হ্যাঁ এমনই বিস্ফোরক রিপোর্ট সামনে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাস ঘুরতে না ঘুরতেই গড় নিয়োগের প্রবণতা কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে। আর সেকারণেই ন্যাসকমের রিপোর্ট উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। আর তাতেই স্পষ্ট আগের অর্থবর্ষের তুলনায় পাঁচ ভাগও চাকরি হবে না চলতি আর্থিক বছরে। তাই তৃতীয় ইনিংসের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদির কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে বেকারত্ব সঙ্কট।

উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই তথ্য জানার অধিকার আইনে করা একটি আবেদনের জবাবে জানা গিয়েছিল, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আইআইটি ক্যাম্পাসগুলিতে ৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর চাকরি হয়নি। একইসঙ্গে ভারতে দ্রুততম হারে বেড়ে ওঠা তথ্য-প্রযুক্তি কর্মজগৎও সার্বিকভাবে ঢুকে পড়েছে তালিকায়। এর পিছনে সবথেকে বড় কারণ হল, দেশীয় তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্টার্ট আপ নিয়ে প্রচারের যে ঢেউ বিজেপি তুলেছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের ফল তার বড় প্রমাণ। পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে, দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ সংস্থা তাদের একাধিক কোর্স বন্ধ করে দেওয়ার পথে হাঁটছে। পরিষেবা এবং তথ্য-প্রযুক্তি—এই দুই সেক্টরই ভারতে ছাত্রছাত্রীদের কর্মজগতে প্রবেশের সবথেকে বেশি চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে বিগত বছরগুলিতে। এখনও সেটা বিদ্যমান। কিন্তু এন্ট্রি লেভেল চাকরির সুযোগ ও বেতন যেমন কমছে, তেমনই সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাকরিগুলির ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে কর্মী সংকোচন ও বেতন কাটার পালা।

&nbsp

Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম
Next article‘ডক্টর দিবস’-এ রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা