শুক্রবার সকাল সকাল দিল্লি বিমানবন্দরের (Delhi Airport accident)এক নম্বর টার্মিনালের ছাদ ভেঙে মৃত অন্তত ৩, আহত ৮। একাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা। এবার এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। এক্স হ্যান্ডেলে দুর্ঘটনার কিছু ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, নির্বাচনের জন্যে তড়িঘড়ি করে দিল্লি বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ কেন দায়ের করা হবে না? প্রচারের জন্য মরিয়া মোদি সরাসরি এই তিনজনের মৃত্যুর জন্যে দায়ী।

SHOCKING & tragic news this morning.
The roof at Delhi Airport’s has T1 collapsed this morning and, until now, 3 people are reported dead.
For election campaigning, Modi had hurriedly “inaugurated” T1 in March even while it was under construction.
𝐖𝐡𝐲 𝐬𝐡𝐨𝐮𝐥𝐝𝐧’𝐭… pic.twitter.com/mx9NQNbush
— Saket Gokhale MP (@SaketGokhale) June 28, 2024
বৃহস্পতিবার থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের মাঝে রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১-এ ট্যাক্সিসহ একাধিক গাড়ির ওপরে ছাদের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। সরকারি সূত্রে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা ৩। লোকসভা নির্বাচনে নিজের গদি বাঁচাতে বিভিন্ন প্রকল্প নিজের নামে চালানোর পাশাপাশি একের পর এক উদ্বোধনে গিমিক তৈরি করার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কদিন আগেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ার পর এবার দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে আত্মপ্রচারে ব্যস্ত মোদি নির্বাচনে জয়লাভ করতে শুধু যে অনৈতিক কাজ করেছেন তাই নয়, নির্মাণাধীন বিমানবন্দর উদ্বোধন করে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলে খেলা করেছেন, এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিন সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই দুর্ঘটনায় ছাদের বিমগুলিও ভেঙে পড়ে। সেই বিমের চাপে টার্মিনালের পিক-আপ ও ড্রপ এরিয়ায় পার্ক করা গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানা গেছে। হাসপাতালে আহত আটজনের চিকিৎসা চলছে। কেন্দ্রের তরফে আহতদের তিন লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করার পাশাপাশি গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে টার্মিনাল ১-এ সব চেক-ইন কাউন্টার বন্ধ রাখার কারণে বহু যাত্রী সকাল সকাল বিমানবন্দরে পৌঁছে বিপাকে পড়েছেন।

