শপথ জট কাটাতে উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা অধ্যক্ষের

‘শপথবাক্য পাঠ করার জন্য রাজ্যপালের অপেক্ষায় রয়েছি’-এই প্ল্যাকার্ড হাতে বিধানসভায় ধরনায় বসেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত।

দুই বিধায়কের শপথ জট কাটাতে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধনকড় বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করেছিলেন অধ্যক্ষকে। বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অধ্যক্ষ উপরাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করে বলেন, “আপনি একসময় এই রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন। আপনার সময়েও এরকম একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনি বিধানসভায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান। আপনি এখন রাজ্যপালের সুপিরিয়র। আপনি রাজ্যপালকে বোঝান।” অধ্যক্ষ পরে জানান, উপরাষ্ট্রপতি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। সদ্য বরানগর ও ভগবানগোলার উপনির্বাচনে জয়ী হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। তাঁদের শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চলছে। রাজভবনের দাবি, শপথ গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠিয়ে সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত বুধবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দুজনকে রাজভবনে ডেকে পাঠান। কিন্তু বিধানসভাতেই শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় দুজনে। তাই রাজভবনে যাননি তাঁরা। পরিবর্তে ‘শপথবাক্য পাঠ করার জন্য রাজ্যপালের অপেক্ষায় রয়েছি’-এই প্ল্যাকার্ড হাতে বিধানসভায় ধরনায় বসেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত।

রাজ্যপালকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জেতার পর একমাস ধরে বসে রয়েছেন আমার বিধায়করা। শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ ওঁদের নির্বাচন করেছেন। শপথ নিতে না দেওয়ার কী অধিকার রয়েছে ওঁর? স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন রাজ্যপাল, অথবা ডেপুটি স্পিকারকে দেবেন, তা না হলে নিজে বিধানসভায় আসবেন! রাজভবনে কেন যাবেন সবাই? রাজভবনের যা কীর্তি, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন। আমার কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, সোমবার বিকেল তিনটের মধ্যে এই শপথ জট না কাটালে দিল্লির তাজ প্যালেসের আনটোল্ড স্টোরি প্রকাশ্যে আসবে।

এদিকে, শপথ জটিলতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও চিঠি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে আবেদন জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যেন রাজ্যপালকে নির্দেশ দেন, যাতে তিনি স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দেন। চিঠিতে রয়েছে,রাজ্য়পাল চাইলে নিজে বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। এই পর্বে অনুঘটকের ভূমিকায় জগদীপ ধনকড়। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল, আবার বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজ্য বিধানসভা। এই চিঠির পরই ধনকড়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

 

Previous articleদক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দাপট শেফালি-স্মৃতির, প্রথম দিনেই ভারতের রান সংখ্যা  ৪ উইকেট হারিয়ে ৫২৫
Next articleবেঙ্গল মহিলা প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের ফাইনালে জয় ছিনিয়ে নিল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্স