যৌন নিগ্রহের পর নাবালিকার মুখ বন্ধ রাখতে টাকা দেন ইয়েদুরাপ্পা! পুলিশের চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য

ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন নাবালিকা। অভিযোগ, সেই অভিযোগ শোনা তো দূর তাঁকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন কর্নাটকের (Karnataka) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পরে পুলিশকে ওই নাবালিকার মা জানিয়েছেন, দরজার আড়ালে শিশুটিকে ‘নিগ্রহ’ করেন ইয়েদুরাপ্পা (BS Yedurappa)। এরপরই মুখ বন্ধ রাখতে যৌন নির্যাতনের পর নির্যাতিতা এবং নাবালিকার মায়ের হাতে টাকা দিয়েছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। বিশেষ পকসো আদালতে পেশ করা চার্জশিটে (Chargesheet) এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যে, বছর একাশির ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

তবে শুধুমাত্র কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই নন, তাঁর তিন সহযোগী অরুণ, রুদ্রেশ এবং মারিস্বামীও পরবর্তীতে নির্যাতিতাকে টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে। ইয়েদুরাপ্পার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের চার্জশিট অনুযায়ী, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সকালে মায়ের সঙ্গে ইয়েদুরাপ্পার বাড়িতে যায় ১৭ বছরের নাবালিকা। সেখানেই একটি বন্ধ ঘরে তাকে যৌন নিগ্রহ করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। মেয়েটি ভয়ে চিৎকার করলে তার হাতে নগদ টাকা গুঁজে দেন তিনি। পরে তার মাকেও টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিতার মা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করলে ইয়েদুরাপ্পার হয়ে অরুণ, রুদ্রেশ ও মারিস্বামী নির্যাতিতার বাড়িতে হাজির হন। তারপর মহিলাকে বাধ্য করা হয় সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফোনের গ্যালারি থেকে ভিডিওটি ডিলিট করাতে। পরিবর্তে নগদ ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় নির্যাতিতার মাকে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সদাশিবনগর থানায় ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। পরে সেই মামলার তদন্তভার পায় কর্ণাটক সিআইডি। এরই মধ্যে মে মাসে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার মায়ের।

Previous articleটি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের পিচ কেমন, কতটা সাহায্য পাবেন ব্যাটাররা ?
Next articleনিউমার্কেটে দুপক্ষের ধুন্ধুমার, রাস্তা আটকে বিক্ষোভে হকাররা