আগে থেকেই ‘হিলিয়াম লিক’! সুনিতার মহাকাশযান নিয়ে প্রশ্নের মুখে নাসা

তাঁদের দাবি বোয়িংয়ের অন্যান্য বাণিজ্যিক পরিবহনের ক্ষেত্রে যে ধরনের প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকে, এক্ষেত্রেও সেই রকম হয়েছে

বিকল মহাকাশযানে পৃথিবীর বুকে ফেরা এখন প্রশ্নের মুখে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামের। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নাসা-র দায়িত্ববোধ। যে স্টারলাইনারে মহাকাশে পাড়ি দেন সুনিতা ও সঙ্গী ব্যারি উইলমোর, সেটি গত এক বছর ধরে বাতিল হয়েছে মহাকাশযানের বিকল হওয়ার জন্য। দেখা গিয়েছিল প্রযুক্তিগত ত্রুটি। তারপরেও সেই যানেই মহাকাশে পাড়ি দিয়ে এখন ফেরা নিয়ে প্রশ্নের মুখে সুনিতা।

নাসা-বোয়িংয়ের স্টারলাইনার এক বছর আগে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। ১৫০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প সফল করতে মরিয়া ছিল নাসা। ফলে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ফের স্টারলাইনারকে আকাশে ওড়াতে সক্ষম হয় নাসা। যদিও দুবার সেই মিশনও ব্যর্থ হয়। ৬ মে ও ১ জুন উড়ান বাতিল হওয়ার সময়ও এই মহাকাশযান থেকে হিলিয়াম লিকের ঘটনা সামনে আসে।

যান্ত্রিক ত্রুটিতে মহাকাশযানের ফেরা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরে বোয়িংয়ের সাফাই, মহাকাশচারীরা এখনই ফিরতে চান না। এখনও তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে। ফলে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত হওয়া পর্যন্ত তাঁরা মহাকাশে থাকতে পারেন। ইতিমধ্যেই ২৪ জুন একটি স্পেশওয়াক সম্পন্ন হয়েছে। ২ জুলাই আরও একটি স্পেশওয়াক পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার পরে ছাড়া সুনিতাদেরও পৃথিবীতে ফেরা সম্ভব নয় বলেই নাসা জানাচ্ছে।

যদিও এই সমস্যার পরে নাসা ও বোয়িং উভয় সংস্থাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি বোয়িংয়ের অন্যান্য বাণিজ্যিক পরিবহনের ক্ষেত্রে যে ধরনের প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকে, এক্ষেত্রেও সেই রকম হয়েছে। তার পরেও বোয়িং-কে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে দেওয়ায় সমালোচনার মুখে নাসা।

Previous articleপ্রশ্নফাঁসের ঘটনায় প্রত্যক্ষ যোগ! নিটকাণ্ডে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার সাংবাদিক
Next articleচূড়ান্ত হতাশার বহিঃপ্রকাশেই গণপিটুনি! মত মনোবিদদের, মাস কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ মেয়রের