৫০ বছর একসঙ্গে থাকার পর স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ দম্পতির! কারণ জানলে অবাক হবেন

বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রোগভোগের সমস্যা। আর সেকারণেই নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছা মৃত্যুবরণ (Voluntary Death) করলেন নেদারল্যাণ্ডসের (Netharlands) এক প্রবীণ দম্পতি। দীর্ঘ ৫০ বছর একসঙ্গে থাকলেও বয়সের পাশাপাশি রোগভোগ গ্রাস করেছিল দম্পতিকে। তাই শেষমেশ তাঁরা দুজনেই জীবন আর বয়ে নিয়ে যেতে চাননি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চলতি জুন মাসের শুরুর দিকেই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নেন। আর তাঁদের এই কাজে সাহায্য করেন দুই চিকিৎসক। স্বেচ্ছা মৃত্যুর জন্য প্রাণনাশী ওষুধ দেওয়া হয় তাঁদের।

যদিও নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছামৃত্যু একটি বৈধ পন্থা। তবে এটা বিরলও বটে। তা সত্ত্বেও সেদেশের বহু মানুষ এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু আচমকা কেন এমন পথ বেছে নিলেন জ্যান (৭০) এবং ইলস (৭১) নামে ওই দম্পতি? একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টা আগেও তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানেই উঠে আসে তাঁদের জীবনের জানা-অজানা কাহিনী। দম্পতি জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ পাঁচ দশক তাঁরা দুজন একসঙ্গে ছিলেন। তবে জীবনের বেশিরভাগ সময় তাঁরা কাটিয়েছেন নৌকায় করে। তবে জীবনের শেষ পর্বে এসে একটি ভ্যানে থাকতেন তাঁরা। কারণ নিজেদের বাড়িতে থাকতে মন চাইত না দম্পতির। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, যেহেতু নৌকায় থাকতেন তাঁরা, নিজেদের জীবন অতিবাহিত করতে সেই নৌকা নিয়েই পরিবহণের ব্যবসায়ও নেমেছিলেন ইলসের স্বামী জ্যান। তবে জ্যান জানিয়েছিলেন একসময় ভারী কাজ করতে করতে তাঁর পিঠের ব্যথার সৃষ্টি হয়। আর তারপর থেকেই ধীরে ধীরে কর্মহীন হয়ে পড়েন জ্যান। পাশাপাশি বয়সের ভারেও জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে ২০০৩ সালে জ্যান পিঠের অস্ত্রোপচার করলেও লাভের লাভ হয়নি। তবে ক্রমাগত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেন।

তবে এখানেই শেষ নয়, জ্যান আরও জানিয়েছিলেন তাঁর শারীরিক অসুস্থতা চলাকালীন আচমকাই তাঁর স্ত্রী ইলসের স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দেখা যায়। সেখান থেকে ভালো হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না ইলসের। এরপর নিজেদের ছেলেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জুন মাসেই মৃত্যুবরণ করেন ওই ব্রিটিশ দম্পতি।

Previous articleবউবাজারের হস্টেলকাণ্ডে গ্রেফতার ১৪
Next articleবিশ্বকাপে রান না পাওয়া কোহলির পাশে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাটকে নিয়ে কী বললেন মহারাজ?