অক্ষত ‘চোকার্স’ তকমা, অধরা বিশ্বকাপ; তিন দশক পেরিয়েও স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রনা প্রোটিয়াদের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) ফাইনালে মাত্র ৭ রানে ভারতীয় টিমের কাছে হেরে চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা (South Africa lost by 7 runs in final)। অথচ একটা সময় মনে হয়েছিল এবারেও ভারতীয় দলের শাপমুক্তি হবে না। ম্যাচটা বোধহয় রোহিত-বিরাটদের (Rohit Sharma -Virat Kohli) হাত থেকে বেরিয়ে গেল। ১৫ তম ওভারে ক্লাসেনের মহাজাগতিক ব্যাটিংয়ের পরও ‘চোকার্স’ তকমা যে গা থেকে সরবে না সেটা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ৩২ বছর কাটলো, মাঠ, প্রতিপক্ষ খেলার স্টাইল এমনকি খেলোয়াড় বদলেও ভাগ্য ফিরলো না দক্ষিণ আফ্রিকার।

শনিবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ক্লাসেন যখন ২৭ বলে ৫২ করে সাজঘরে ফিরছেন, তখন শিরোপা জিততে তেইশ বলে ২৬ রান দরকার। হাতে রয়েছে পাঁচ উইকেট। সদ্য ক্রিকেট খেলতে শেখা ছেলেটাও বলে দেবে এই ম্যাচ জেতা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে কোন ব্যাপারই নয়। কিন্তু ক্রিকেট ঈশ্বর বোধহয় বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য অন্য কোনও পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন। তাই নিজেদের টি-টোয়েন্টির বিদায়ী ম্যাচে রোহিত-বিরাটকে নিরাশ হতে হয়নি। ডেথ ওভারে বল করতে এসে মাত্র ৬ রান দিয়ে দু ওভারে একটি উইকেট তুলে নেন বুমরা (Jashpreet Bumrah)। অনেক ম্যাচেই অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার। তিনি মাঠে থাকা মানে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে আছে। কিন্তু হার্দিকের (Hardik Pandya) ফুলটস বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে রূপকথার মতো সূর্যের তালুবন্দি হয়ে ফিরতে হলো তাঁকে। ম্যাচের ভাগ্য ওখানেই নির্ধারিত হয়ে গেল। বাকিটা ইতিহাস যা রচিত হল শুধুমাত্র টিম ইন্ডিয়ার জন্য।

আজ থেকে ৩২ বছর আগে একদিনের বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনালে পৌঁছে দক্ষিণ আফ্রিকান শিবির। তারপর থেকে ওয়ান ডে এবং টি টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট সাত বার সেমিফাইনালে পৌঁছেছে এই দল। এই প্রথম ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু চাপের মুখে ভেঙ্গে পরল ব্যাটিং অর্ডার। অক্ষত চোকার্স তকমা, অধরা বিশ্বসেরার স্বপ্ন। ২০২৪ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল।

 

Previous articleপ্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজধানীতে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা! আগামী ৪ দিন জারি সর্তকতা
Next article‘এই বিশ্বকাপ দ্রাবিড়ের প্রাপ্য, আমরা সবাই ভীষণ খুশি’, চ্যাম্পিয়ন হয়ে বললেন রোহিত