‘স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছা’, রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে যা ছিল ডায়নার অনুপ্রেরণা

লেখিকা মরানের কথায়, তাঁর কাঁধে কোনও প্যাডের বোঝা ছিল না। তাঁর মাথা ছিল উন্নত ও মুখে হাসি। চার্লসের সমালোচনা ও স্বাধীনচেতা মনোভাব পরিপন্থী

রাজকুমার চার্লসের সঙ্গে রাজকুমারি ডায়নার বিয়ের ঘোষণার সময় চার্লসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁরা পরস্পরকে ভালোবাসেন কিনা। চার্লসের জবাব ছিল, “যদি একে ভালোবাস বলে, তবে তাই”। সেই উত্তর থেকেই খানিকটা আভাস পাওয়া গিয়েছিল এই বিয়ে, বা বিয়ের পরে ডায়নার সম্মান নিয়ে কী অবস্থান নেবেন তাঁর স্বামী রাজকুমার চার্লস। ঠিক তারই প্রতিফলন হয়েছিল ১৯৯৬ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে। দুই মেরুর দুজন মানুষের দাম্পত্য যে ডায়নার কাছে বোঝার মত হয়ে পড়েছিল সেই আভাস অবশ্য ১৯৯৪ সাল থেকে পাওয়া গিয়েছিল, দাবি লেখিকা এলিওস মরানের।

বাকিংহাম প্যালেসের একটি সূত্র দাবি করছে ১৯৯৩ সাল থেকে যে বিভেদের বাদ্যি রাজ পরিবারের বেজেছিল সেটাই ১৯৯৬ সালে খাতায় কলমে প্রতিফলিত হয়। ১৯৯৪ সালের গ্রীষ্মে একটি অনুষ্ঠানে কাঁধ খোলা কালো পোশাকে নজর কেড়ে সেটা প্রমাণ করেছিলেন ডায়না। গোটা ১৯৯৪ সালের গ্রীষ্মকাল তাঁকে এভাবেই নিজের স্বাধীনতা উপভোগ করতে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি রাজ পরিবারের ওই সূত্রের। ডায়নাকে বিয়ে একাধারে রাজপরিবারের সামনে পেশ করার মতো, অন্যদিকে জীবনে সঙ্গে চলার মতো ‘স্মার্ট’ পছন্দ হিসাবেই নিয়েছিলেন রাজকুমার চার্লস। রাজবাড়ির অন্দরে সেই গুঞ্জন আজও শোনা যায়। ডায়নার স্বাধীনতা উপভোগ কার্যত সেই দাবিকেই সমর্থন করে।

রাজ পরিবারের দুই সন্তানের পাশাপাশি সব সুখ পেলেও ডায়না যে জীবনের খোঁজে ছিলেন, তা ওখানে ছিল না। ১৯৯৪-এর গ্রীষ্মের অনুষ্ঠানে ডায়নার পোশাক সাধারণ মানুষের মনে অত্যন্ত উদার মনোভাব তৈরি করেছিল। লেখিকা মরানের কথায়, তাঁর কাঁধে কোনও প্যাডের বোঝা ছিল না। তাঁর মাথা ছিল উন্নত ও মুখে হাসি। চার্লসের সমালোচনা ও স্বাধীনচেতা মনোভাব পরিপন্থী মন্তব্যকে এই পোশাকেই যেন কড়া জবাব দিয়েছিলেন ডায়না।

Previous articleফোরাম ফর দুর্গোৎসবের উদ্যোগে ‘মায়ের জন্য রক্তদান’ মহৎ প্রয়াস: কুণাল
Next articleবিশ্বকাপ জয়ের পরও চোখেমুখে চরম হতাশা! ‘নাতাশা’ কাঁটা সরিয়ে আবেগপ্রবণ হার্দিক