Tuesday, May 6, 2025

ব্যথা কেন সারছে না? প্রশ্ন করায় প্রথমে নার্সের অবাঞ্ছিত ব্যবহার ও পরে রোগী এবং তার পরিবারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। খাস কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা । অভিযোগ করতে গেলে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছে আক্রান্ত পরিবার। কলকাতায় হাসপাতালের মধ্যেই রোগী ও তাঁর পরিবারকে লাঠিপেটা করার মারাত্মক অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
এক রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বাইরে রোগী সুস্থ না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখান তাঁর আত্মীয়রা। সংশ্লিষ্ট রোগীর পরিবারের সদস্যদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। লাঠি নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায় সিভিক ভলন্টিয়ারকেও। ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ চত্বরে। লাঠিচার্জের ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এনেছেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালে সুপারের কাছে এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রোগী শাহনওয়াজ বেগম জানিয়েছেন, তিনি রবিবার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে দুপুর বারোটা নাগাদ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসেছিলেন। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে দেখে বুকে ব্যথার একটি ইঞ্জেকশন লিখে দেন। হাসপাতালে দু-বার ইনজেকশন দেওয়ার পর তৃতীয়বার ইনজেকশন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর বুকের ব্যথা কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। বারংবার ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেও কেন ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে? জিজ্ঞেস করায় নার্স এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা দুর্ব্যবহার শুরু করেন বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ এবং কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। অভিযোগ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে জরুরী বিভাগ থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং গালিগালাজ করা হয়।

পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন রোগী এবং তাঁর আত্মীয়রা। এরপর হাসপাতাল চত্বরে শাহনওয়াজ বেগম এবং তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। তাঁর ছেলেকেও লাঠির বাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও তুলে রাখলে পুলিশ মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ভিডিও করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রোগীর পরিবার যে ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে পুরুষ পুলিশকর্মী লাঠির বাড়ি মারছেন এক ব্যক্তিকে। তাঁকে বাঁচাতে মহিলারা এগিয়ে গেলে তাঁদের লাঠির আঘাত লাগে।
রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অভিযোগ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিয়েছে। এমনকি এফআইআর তো দুর-অস্ত, জিডিও নেওয়া হয়নি। রোগীর ছেলে মোহাম্মদ শাহাদাত বলেন, “আমরা থানায় গিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অভিযোগ নেওয়া হয়নি। উল্টে আমাদের একটা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে, আমার মা, বাবা সকলকে মারধর করা হয়েছে। সাহায্যের জন্য আমরা আত্মীয়দের হাসপাতালে ডাকি। পুলিশ তাঁদের সাথেও খারাপ আচরণ করে। আমরা ওই পুলিশের শাস্তি চাই। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে আমরা কিছুই করিনি। তা সত্ত্বেও আমাদের মারধর করা হয়েছে।

 

Related articles

ICSE-তে তৃতীয় সম্পূর্ণা সংবর্ধিত মোহনবাগানে

আইসিএসই(ICSE)-তে তৃতীয়। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যত্। কিন্তু সেই সম্পূর্ণাকে(Sampurna Sinha) যদি পড়াশোনা এবং মোহনবাগানের(Mohunbagan) মধ্যে কোনও একটা বেছে নিতে...

ফের কলকাতায় দিনেদুপুরে লুট! ট্যাক্সি থেকে গায়েব ২.৫ কোটি টাকা

ফের নগরবাসীর চোখের সামনে দিনেদুপুরে নগদ টাকা লুটের ঘটনা। সোমবার সকাল পৌনে বারোটা নাগাদ ফের খাস কলকাতার এন্টালির...

গোপীবল্লভপুরের বাড়িতে সস্ত্রীক দিলীপ, শ্বশুরবাড়িতে নতুন পদ রাঁধবেন নববধূ রিঙ্কু

রাজনীতি থেকে বহুদূরে এখন নতুন শ্বশুরবাড়িতে খোশ মেজাজে রিঙ্কু ঘোষ মজুমদার। সোমবার দুপুরে নববধূ রিঙ্কু ও মাকে নিয়ে...

মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা কড়া জবাব কুণালের

সঠিক সময়ে তিনি মুর্শিদাবাদ যাবেন- আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই সোমবার দুদিনের সফরে গিয়েছেন তিনি। আর...
Exit mobile version