দক্ষিণ দমদম পুরসভায় রাতারাতি ২৯ জনের চাকরি! পাচু রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের

এই চাকরিগুলি টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়ে চার্জশিটে কোনও উল্লেখ নেই বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে বলেও  জানিয়েছে।

পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম চার্জশিট পেশ করে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, করোনাকালে একই দিনে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ২৯ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সময় পুরপ্রধান ছিলেন পাচু রায়। তবে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়ে তেমনটাই দাবি করল সিবিআই। যদিও এই চাকরিগুলি টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়ে চার্জশিটে কোনও উল্লেখ নেই বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে বলেও  জানিয়েছে।

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। জানা যায় করোনাকালে রাজ্যের অন্তত ৮০টি পুরসভায় নিয়োগে ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছে। কোনও নিয়ম না মেনে টাকার বিনিময়ে একের পর এক নিয়োগে করা হয়েছে। এবার সেই নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি উঠে এল প্রাক্তন পুরপ্রধানের নাম।ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখ। সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিস এবং হুগলিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময় দিস্তা দিস্তা ওএমআর শিটের পাশাপাশি, ২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা। আপাতদৃষ্টিতে তা প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায়, ওই নথির মধ্যে রয়েছে একাধিক পুরসভার প্রার্থী তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। বাজেয়াপ্ত সেই নথির মধ্যে প্রার্থী তালিকায় থাকা নামের পাশে বেশ কিছু ‘কোড ওয়ার্ড’ পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

বাজেয়াপ্ত ২৮ পাতার নথির মধ্যে ছিল বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগের সংক্রান্ত প্যানেলের প্রার্থীর তথ্য। উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম-সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্যও ছিল ওই নথিতে। পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, মজদুর, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্লার্ক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, হেল্পার, ড্রাইভার-সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ওই নথিতে ছিল। এই নিয়ে একাধিক বার ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পাচু। তাকে তলব করা হয়েছিল সিবিআইয়ের কলকাতার দফতর সিজিও কমপ্লেক্সেও। এ বার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিবিআই।

 

Previous articleদেড় বছরে সাফ হবে NDA: লোকসভায় দাবি সাংসদ কল্যাণের
Next articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে